পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
পুরান ঢাকার ইসলামপুরের ঝব্বু খানম জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন হত্যাকা-ের জট খোলেনি। নিহতের পরিবার, সহকর্মী ও স্থানীয়রা এ খুনের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি। এদিকে, ঘটনার দুদিন পরেও গতকাল পর্যন্ত পুলিশও স্পর্শকাতর এ হত্যাকা-ের কোনো ধরনের ক্লু পায়নি। গত দুদিনে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে পুলিশের তদন্ত। প্রায় দেড়শ’ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ঝব্বু খানম মসজিদটিতে সোমবার রাতে মুয়াজ্জিন হত্যাকা-ের পর কয়েকটি ওয়াক্তের আজান ও নামাজের জামায়াত হয়নি। আলামত সংগ্রহের জন্য গতকালও ঘটনাস্থল ছিল তালাবদ্ধ।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে ভোর সোয়া পাঁচটার আগে যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে খুন করে মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেনকে। মসজিদের দ্বিতীয় ও তৃর্তীয় তলার মাঝের সিঁড়িতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইয়াছিন অজ্ঞাতদের আসামি করে সোমবার কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম গতরাতে ইনকিলাবকে বলেন, কী কারণে এবং কারা মুয়াজ্জিনকে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে মসজিদের ইমাম, খতিব, জুনিয়র মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ারসহ ইতিমধ্যে অন্তত ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো তথ্য মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, ১৮৭৬ সালে ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্যরা ইসলামপুরে মসজিদটি নির্মাণ করেন। ২০০৫ সালে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বেলাল হোসেন ঝব্বু খানম জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিশ্বস্ততার কারণে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাবও থাকতো তার কাছে। কারও সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্ক ছিল না। ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় তিনি বেশ পরিচিত। মতাদর্শগতভাবেও তিনি কারও সঙ্গে কখনো বিরোধে জড়াননি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান দিয়েছেন। আর মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রেখেছেন। এর বাইরে তিনি আর কিছুই করতেন না। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, গত রমজানে দুর্বৃত্তরা মুয়াজ্জিনকে বেদম মারধর করে মসজিদের দান বাক্স ভেঙে ও তার কাছে থাকা প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনারও সুরাহা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।