Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে : খসরু খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচন -ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একইসূত্রে গাঁথা। তার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্ত হবে না, গণতন্ত্র মুক্ত না হলে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। আর তা না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। গতকাল (সোমবার) মহানগর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কাজির দেউড়ি মোড়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল বেগম জিয়াকে কারাগারে নিলে আমরা নির্বাচনের কথা ভুলে যাব। আমরা পরিষ্কার করতে বলতে চাই, গণতন্ত্র এবং অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় নির্বাচন সবকিছুর সঙ্গে খালেদা জিয়া একসূত্রে গাঁথা। সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই হবে আমাদের প্রধান শপথ। তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে এদেশে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করব। নির্বাচনের আগে সংসদ ভাঙার বিধান করব। সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেব। এরপর নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে অংশ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, তিনি ভয়ে ভীত। কমনওয়েলথ নেতাদের সামনে তাকে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে প্রতিরোধ করেছেন, কালো পতাকা দেখিয়েছেন তাতে উনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কমনওয়েলথ নেতারাও বলেছেন, আপনি স্বৈরাচার। আপনি দেশের মানুষকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছেন না। জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি। এজন্য লন্ডনে বসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সম্পর্কে আবোল-তাবোল বক্তব্য দিচ্ছেন। তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সমাবেশে প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কথা হবে না। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, গণতন্ত্র মুক্ত করব। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। আইনের শাসন আসবে। তারপর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে যেতে বিএনপির কোনো প্রস্তুতির দরকার হয় না। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। যেকোনো সময় বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে বাধ্য করা হবে। এছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্র যেখানে বন্দি সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে।
কিন্তু কেউ কোনদিন গণতন্ত্রকে বন্দি করে বেশিদিন রাখতে পারেনি। এটা সাগরের পানিতে বাঁধ দেয়ার মতো। সাগরে বাঁধ দিয়ে যেভাবে পানি রোধ করা যায় না, তেমনি খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে গণতন্ত্রকে বন্দি রাখা সম্ভব না। যারা এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা গণতন্ত্রের প্লাবনে ভেসে যাবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির নির্ভরশীলতা জনগণের উপর আর আওয়ামী লীগ নির্ভর করে বিদেশী শক্তির উপর। সরকার যদি ভেবে থাকেন কিছু পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করবেন, কিন্তু দেশের জনগণ তা কখনো হতে দেবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের পতনের আন্দোলনও জোরদার করতে হবে। এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সরকার যেন পালানোর পথ খুঁজে না পায়। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের পতনের আন্দোলনও জোরদার করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রয়োজনে চট্টগ্রাম থেকে লাখো নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকায় যাব। নাজিমউদ্দিন রোডে জেলখানা ঘেরাও করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করব। মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলনের জন্য চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত আছেন।
কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালালউদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল, গাজী সিরাজউল্লাহ, নগর মহিলা দল সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, শেখ নুরুল্লাহ বাহার প্রমুখ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ