পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কোনো ভাষ্য না নিয়ে একতরফাভাবে তৈরি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন মনগড়া, ভিত্তিহীন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত।’ তথ্যমন্ত্রী রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সদ্য প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার একতরফাভাবে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন দিয়ে আসছে। এটা তাদের একতরফা পদক্ষেপ। যেসব দেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতিবেদন দেয়, সৌজন্যমূলকভাবেও সেসব দেশের সরকারের বক্তব্য বা মতামত নেয় না। তিনি বলেন, কোনো দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় সে দেশের সরকারের ভাষ্য না নেওয়া কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত। বাংলাদেশের ওপর এ প্রতিবেদন তৈরির আগে তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নেওয়া উচিত ছিল। তা না করে এ ধরনের মনগড়া ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা তা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি।’
‘এ রিপোর্টে যে বেসরকারি সংস্থাগুলোর বরাত দেওয়া হয়েছে, তাদের বক্তব্যও পরস্পরবিরোধী’এ কথা উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, এদের মধ্যে একটির নাম ‘অধিকার’। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় হেফাজতের সমাবেশ শেষে তারা হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেওয়ার পর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছিল। এনজিও ‘অধিকার’ তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়। এমন এনজিওর বরাতে তৈরি প্রতিবেদন সঠিক হওয়ার কথা নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম খুবই সরব এবং নিঃসংকোচে মতপ্রকাশ করে বলে রিপোর্টে স্বীকার করে নেওয়ার পরও বলা হয়েছে সরকারবিরোধী বক্তব্যের জন্য তাদের সঙ্গে সরকারের নেতিবাচক সম্পর্ক এ অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ তিনি বলেন, সমালোচনার জন্য কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের নেতিবাচক আচরণের ঘটনা নেই। এ দেশের গণমাধ্যম জীবন্ত এবং সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কথা বলার অধিকারের ওপর কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই। সাংবাদিক কেউ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন বা কেউ দমন-পীড়নের আতঙ্কে আছেন, এমন অভিযোগও নেই। গণমাধ্যমের লাইসেন্স প্রদানের বিষয় ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্রের লাইসেন্স আইন অনুযায়ী প্রকৃত উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়। এনজিও হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সভা করার অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে, এমন অভিযোগ খÐন করে হাসানুল হক ইনু বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনকে সভা-সমাবেশ করতে হলে বিশ্বের সব দেশের মতো এখানেও অনুমতি নিতে হয়। আর জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল, কোনো এনজিও না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন। সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করে অবসর নিয়েছেন। তাঁর বিষয়ে মার্কিন ওকালতি দুঃখজনক।’
প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিচারকদের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এ দেশের আইনে ঘুষ খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই, খেলে শাস্তি হয়। বিচারকবৃন্দ এবং আদালতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ এলে তদন্ত হয়। প্রতিকার হয়। মার্কিন প্রতিবেদনের এ ঢালাও মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের অভিযোগ খÐন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের ঘটনার দায়মুক্তির বিধান বাংলাদেশে নেই। অতীতের সামরিক-স্বৈরশাসন আমলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐ ও আরও কিছু অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার সে দায়মুক্তির বিধান বাতিল করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটলে তদন্ত হয়, শাস্তি হয়, কারও দায়মুক্তি নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।