পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে প্রতিনিয়তই চলছে শাসক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরকারি দলের নেতাদের প্রচার প্রচারণা। গত শুক্রবার রাতে নগরীর একটি ক্লাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে সভা করেছেন জেলা শাখার নেতারা। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ১৪ দলের পক্ষ থেকে মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী গোষ্ঠি ও ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্মানহানীর ও কুৎসা রটনায় তৎপর হয়েছে বলে অভিযোগ তুলোছেন। গতকাল শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত কেসিসি মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।
কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল রাতে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদসহ জেলার নেতারা ইউনাইটেড ক্লাবে নৌকা প্রতীকের ব্যানার টানিয়ে সভা করেন। সেখান থেকে কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহবান জানানো হয়। তাদের এ কর্মকান্ড খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর ২২ নং বিধির লংঘন। এ বিষয়ে নির্বাচনী আচরনবিধির ৩১ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এদিকে, আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভা গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এবং কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সভা থেকে কেসিসি নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জেলা এবং মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়। একই সাথে বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ১৩ টি উপ কমিটি গঠন করা হয়।
এতে সাংগঠনিক উপ কমিটি আহবায়ক মোঃ ফখরুল আলম ও সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, প্রচার উপ কমিটি আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও সদস্য সচিব আজিজুল হাসান দুলু, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ পথসভা অভ্যর্থনা ও আবাসন বিষয়ক উপ কমিটির আহবায়ক সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম নান্নু ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মন্টু, মিডিয়া উপ কমিটির আহবায়ক প্রিন্সিপাল তারিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এহতেশামুল হক শাওন, গণসংযোগ পথসভা ও প্রচারণা উপ কমিটির আহবায়ক মোঃ শফিকুল আলম তুহিন ও সদস্য সচিব মাহবুব হাসান পিয়ারু, নির্বাচন উপকরণ বন্টন উপ কমিটির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব শামীম কবির, পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ও ট্রেনিং উপ কমিটির আহবায়ক মেহেদী হাসান দীপু ও সদস্য সচিব শেখ সাদী, আইন সহায়তা উপ কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট মোল্লা মাসুম রশিদ, এ্যাডভোকেট শহিদুল আলম ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, মহিলা টিম পরিচালনা উপ কমিটির আহবায়ক রেহানা ইসা ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট তছলিমা খাতুন ছন্দা, দপ্তর উপ কমিটির আহবায়ক মহিবুজ্জামান কচি ও সদস্য সচিব এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, অর্থ উপ কমিটির আহবায়ক আব্দুল জলিল খান কালাম ও সদস্য সচিব ইউসুফ হারুন মজনু, চিকিৎসা সহায়তা উপ কমিটির আহবায়ক ডাঃ রফিকুল হক বাবলু ও সদস্য সচিব ডাঃ শওকত আলী লস্কর এবং নির্বাচনী মেনুফেস্টো তৈরি উপ কমিটির আহবায়ক প্রিন্সিপাল মাজহারুল হান্নান।
সভা থেকে নির্বাচনপূর্ব সন্ত্রাস দমনের নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানোর তিব্র নিন্দা জানানো হয়। সভা থেকে বলা হয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে দলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক হায়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন। তারা সন্ত্রাসী নন, অস্ত্রবাজ নন। অতএব অভিযানের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন না করার জন্য সভা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়ে আসন্ন নির্বাচেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আমীর এজাজ খানের পরিচালনায় সভায় নগর বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সৈযদা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, মোল্লা আবুল কাশেম, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এ্যাড. বজলুর রহমান, এ্যাড. এস আর ফারুক, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, শাহজালাল বাবলু প্রমুখ।
গতকাল খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত জেনে তারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার নামে দুদক সহ বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বেনামী দরখাস্ত করেছে। আমি কখন অবৈধ অর্থ উপার্জন করিনি এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না। তিনি এসব কথায় কান না দিয়ে আগামী মেয়র নির্বাচনে তালুকদার আব্দুল খালেককে বিজয় করার আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।