পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, কিছু কিছু প্রভাবশালী মালিকের কারনে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা থাকছে না । তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনের বেলায় ট্টিপ নিয়ে যাওয়ার পরেও একই চালককে আবারও রাতের ফিরতি ট্টিপে গাড়ি চালাতে দেয়া হচ্ছে। এসব দেখার কী কেউ নেই? এসব ঘটনা তদন্ত করার জন্য সরকারি কর্মচারীরা রয়েছেন। তারা কোথায়? তারা কি করে? তারা কি বিষয়গুলো দেখে না? গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‹সড়ক নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা উত্তরণের উপায়› শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গাড়ির বেপরোয়া গতির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আইটিতে অনেক উন্নত হয়েছে। যেসব গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলে আইটি সফটওয়ারের মাধ্যমে এসব বেপরোয়া গাড়ি চিহ্নিত করা দরকার। গাড়ির গতি নিয়ে আলাদা কাজ করা দরকার। পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে এই সিস্টেম চালু রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে দ্রæত গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আমরাও এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, একটি দুর্ঘটনার কারণে কোনো কোনো পরিবার অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের রাস্তাজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। আবার দাবি করা হচ্ছে শাস্তি দেয়া হয়, এত শাস্তি হয় সেটা কোথায় হয়? তারপরেও আমার মনে হচ্ছে কোথাও একটু গ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে, চেষ্টার পরেও কিছু হচ্ছে না। আমাদের তো (রাইট টু লাইফ) একটা মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। বিনা অপরাধে বিনা কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষকে মরতে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন ডিটিসিরি সাবেক নির্বাহী পরিচালক গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, নগর পরিকল্পনবিদ ইকবাল হাাবিব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ূয়া, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম তালুকদার প্রমুখ।
সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানীতে ৮৭ শতাংশ বাস-মিনিবাস নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলায় জড়িত। নগরীর প্রতিটি বাস-মিনিবাস-এর ব্যবসা মূলত চালকরা নিয়ন্ত্রণ করছে। চুক্তিভিত্তিক ইজারায় মালিক তার বাসটি চালকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এতে চালক যাত্রী ধরার জন্য বাসে বাসে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাস চালাতে গিয়ে বাসের নিচে কে পড়ল, কার হাত পা গেল তা দেখার সময় নেই চালকদের। তিনি বলেন, আমরা এসব ঘটনাকে দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলতে চাই। কেননা আমাদের সড়কের সমস্ত অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রেখে নৈরাজ্যকর পরিবেশে আমাদের যাতায়াত করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।