Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচে নজর রাখতে ইসির কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন ভোটে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের বিষয়ে নজরদারি করতে কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিধি মেনে ব্যয় করছেন কিনা- সে বিষয়ে নজরদারি করে এই কমিটি দুই দিন পর পর ইসিতে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি ও বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি এ কমিটিতে থাকছেন সদস্য হিসেবে। একজন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা থাকবেন কমিটির সদস্য সচিব।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন গতকাল শুক্রবার ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীরা সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বিবরণীও জমা দিয়েছেন। যথাযথভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা এবং সীমা পার করছে কিনা তা দেখতেই কমিটি করা হয়েছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হলে প্রচার থেকে ভোট পর্যস্ত ব্যয় তদারকি করা হবে এ কমিটির মাধ্যমে। কমিটি তাদের প্রতিবেদনের অনুলিপি সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠাবে। ভোটার অনুপাতে সিটি করপোরেশনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যক্তিগত খরচ, নির্বাচনী ব্যয় এবং দলীয় প্রার্থীর জন্যে দলের ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে নির্বাচনী বিধিমালায়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা ৩০ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন ব্যক্তিগত খরচ দেড় লাখ টাকা। ভোটের প্রচারের সময় প্রার্থীর নিজের খাবার বা জ্বালানি খরচের বিষয়গুলো ব্যক্তিগত খরচ হিসেবে দেখানো যাবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা ১৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন, ব্যক্তিগত খরচ ৭৫ হাজার টাকা। দুই সিটিতে দলীয় প্রার্থীর জন্যে দল ব্যয় করতে পারবেন ৫ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, কমিশন ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে নিশ্চুপ থাকে, সঠিকভাবে তা তদারকি করেন না। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা যেভাবে প্রচার চালান, বেঁধে দেওয়া ব্যয়সীমায় তা সম্ভব কি না সে প্রশ্ন রয়েছে বহুদিন ধরেই। ২০১৫ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোটের পর টিআইবি বলেছিল, ব্যয়সীমা নির্ধারিত থাকলেও তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো কোনো প্রার্থী এর বহুগুণ বেশি অর্থ খরচ করেছেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুমোদিত নির্বাচনী ব্যয়ের তুলনায় সাতগুণ, ১১ গুণ বা ২১ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে প্রার্থীরা। অথচ ব্যয় পরিবীক্ষণের কোনো ব্যবস্থা ইসির নেই। এবার কি করবে জানি না।
আগামী ১৫ মে ভোটের দিন রেখে দুই সিটির নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ঠিক হয়েছে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার এ দুই সিটিতে ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটার আছেন ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। আর খুলনা সিটির ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন। ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মন্ডল গাজীপুর সিটি করপোরেশনে এবং খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রার্থীদের নির্বাচনী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ