পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হোক সেটাই চাচ্ছে চীন বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার লি গুয়ংজুন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। আশা করি এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন সরকার মসৃণভাবে পালাবদল করবে। বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাসে ‘পাবলিসিটি অব চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোর্ট অ্যান্ড বাইল্যাটারেল ইকোনমিক কোঅপারেশন’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গুয়ংজুন।
ঢাকায় কর্মরত চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার লি গুয়ংজুন বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে চীন। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকবে। তিনি আরো বলেন, নভেম্বরে চীনের সাংহাই শহরে এ আন্তর্জাতিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ মেলা বিশ্ব জনগণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করতে। মেলায় সব দেশ একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। বলা যেতে পারে এটি একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে সবাই স্বাগত। এখানে শুধু চীনের পণ্য নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করা যাবে।
লি গুয়ংজুন বলেন, ২০১৮ সাল চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনে এ বছর নির্বিঘ্নে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। চীনের সরকার বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে থাকে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ কিছু সমঝোতা হয়েছে। সেগুলোর অবস্থা কি জানতে চাইলে লি গুয়ংজুন বলেন, সমঝোতা কোনো চুক্তি নয়। সমঝোতা হলো দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে একটি মানসিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রত্যয়। বাণিজ্য একটি বড় ইস্যু। বছরে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে আমদানি করে ১৫ বিলিয়ন ডলার; আর চীন বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে ১ বিলিয়ন ডলার। চীন কাউকে বাধ্য করে না এ বৈষম্যের জন্য। এটি মার্কেটের কারণে হয়ে থাকে। যেখানে যেমন চাহিদা সেভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এ বৈষম্য কমবে বলে আমি মনে করি না। তবে চীন বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানি করবে।
তৈরি পোশাক সম্পর্কে তিনি বলেন, চীনে এই পণ্যের বাংলাদেশি বাজার বাড়ছে। কারণ চীনে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিন দিন বাড়ছে। চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার আরো বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশে নানান পণ্য বিশ্ব বাজারে ছড়াতে চীনের বিনিয়োগ পাবে। সংবাদ সম্মেলনে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত উই চেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।