পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থের আরও ৮ লাখ ২৫ হাজার ডলার ফেরত দিলেন অভিযুক্ত ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং। গত সপ্তাহে অং এএমএলসির কাছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছিল। আইনজীবীর মাধ্যমে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে গতকাল (সোমবার) এ অর্থ ফেরত দেন তিনি। গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাকে-আবাদ। তিনি জানান, মাইডাস ক্যাসিনো থেকে এ অর্থ ফেরত দেন তিনি, যা ক্যাসিনোতে ব্যবহার করেছিলেন জুয়াড়ি গাও সুহুহা। তবে অংয়ের দাবি, তিনি অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থাকলেও অর্থ পাচারের সাথে জড়িত নন। ফেরত দেয়া অর্থ আপাতত ম্যানিলার হেফাজতে রয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেয়া হবে। অর্থ পাচারের ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেটে নতুন করে শুনানি শুরু হচ্ছে আজ।
এদিকে ৩৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন পেসোর মধ্যে দুটি ৫০০ পেসোর নোট জাল ধরা পড়ায় ফেরত দেওয়ায় কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে ফিলিপাইনের দ্য ইনকোয়ারারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বলেন, সকাল ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে ওই মুদ্রাগুলো গণনা করে দুটি জাল নোট পাওয়া যায়। কিমের আইনজীবী ভিক্টর ফার্নান্দেজ বলেন, কিম অংয়ের আইনি পরামর্শক ইনোসেনসিও ফেরারকে নিজের পকেট থেকে ওই দুটি জাল নোট বদলে দিতে হয়েছে।
‘ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি এবং/অথবা মাইডাস ক্যাসিনোতে শুহুয়া গাওয়ের ফেলে যাওয়া তহবিল থেকে এই ৩৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন পেসো দেওয়া হয়েছে। ফিলিপাইনে চুরি করে নিয়ে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এর আগে গত সপ্তাহে ‘ধার উসুল’ হিসেবে পাওয়া ৪৬ লাখ ডলারের বেশি এএমএলসির কাছে ফেরত দেয় কিম অং। তার এই আইনজীবী বলেন, কিম অংয়ের কাছ থেকে গাওয়ের ধার করা ৪৫০ মিলিয়ন পেসোর (প্রায় এক কোটি ডলার) বাকি অর্থ ফেরত দিতে আরও ১৫ থেকে ৩০ দিন লাগতে পারে।
এদিকে লোপাট ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থ এখনও ফিলিপিন্সে রয়েছে জানিয়ে তা বাংলাদেশকে ফেরত দেওয়া সম্ভব বলে গত মঙ্গলবারের শুনানির পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দেশটির সিনেটর রালফ রেক্তো। সিনেটরের ওই বিবৃতির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ম্যানিলা বুলেটিন জানায়, প্রায় ৩৪ মিলিয়ন ডলার দুটি ক্যাসিনো ও মুদ্রা বিনিময় ব্রোকারেজ হাউজের কাছে রয়েছে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক পাঠানো হয়। রিজল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ফিলিপাইনের মুদ্রা ব্যবস্থায় মিশে যায়। রিজার্ভ চুরির ঘটনার পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত ক্যাসিনোর জাঙ্কেট অপারেটর কিম অংকেই মূল ব্যক্তি বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।