পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পতাকাবাহি সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়ে প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, গত মঙ্গলবার বিমানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে আমি জানি?আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে? মন্ত্রী বলেন,‘আমি বিমানমন্ত্রী।আমি বাংলাদেশ বিমানের মন্ত্রী না।আমি হচ্ছি বেসরকারি যারা, রিজেন্ট আছে, ইউএস-বাংলা আছে, নভোএয়ার,আমি তাদের মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এ কথা শুনে হয়তো বা রাগ করতে পারেন। কিন্ত আমাকে সত্য বলতেই হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে মহাখালীতে ফ্লাইট সেফটি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিমান মন্ত্রী বলেন,টিকিটের জন্য গত সপ্তাহেও আমাকে বলা হয়েছে। আপনাদের কাছে টিকিট আছে, আপনারা প্যাসেঞ্জারকে বলেন যে, টিকিট নাই। এই যে চুরি, এই যে ডাকাতি, এটা কেন হচ্ছে। এর জন্য কারা দায়ী? আমার কাছে গতকালকে (মঙ্গলবার) একজন প্যাসেঞ্জার বলেছেন, উনি (প্যাসেঞ্জার) লন্ডনে যাবেন। উনি টিকিট চেয়েছেন, কিন্তু টিকিট নাই। পরে আকাশে ওড়ার আগে একজন প্যাসেঞ্জার বললো, বিজনেস ক্লাসের ছয়টা সিট খালি আছে। এটা বিশ্বাসঘাতকতা জাতির জন্য। এটা মুনাফিকি, এই দুষ্কৃতিকারী কেন হচ্ছে।
মন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেন, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি বাংলাদেশ বিমানের জন্য। কদিন আগে আমার সঙ্গে কাতার এয়ারলাইন্সের লোকজন দেখা করেছিল। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তাদের পপুলেশন কত? তারা জানালো ২৭ লাখ। কিন্তু তাদের এয়ারক্রাফটের সংখ্যা কত? প্রায় ১৪৬টি, তারা জানালো। ছোট্ট একটা দেশ, তারা এত উন্নত হতে পেরেছে। আর আমরা, বাংলাদেশ বিমান এত পেছনে পড়ে কেন? আমরা কেন এগুতে পারছি না?’
তিনি বলেন, আমরা তো মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা বীরের জাতি। আমি সরকারের লোক, সরকারি দলের প্রতিনিধি। আমি দেখেছি, এভিয়েশন খাতে আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে যারা, তারা ভালো করছেন। ইউএস-বাংলার অ্যাকসিডেন্টের বিষয়ে এখন তো বলতে পারবো না, কার দোষ। ইনকোয়ারির পর আমাদের কাছে রিপোর্ট আসবে। প্রধানমন্ত্রী (নেপালের) বলেছেন,আমি এই মুহূর্তে বলতে পারি না। ইনকোয়ারির পর যেটা আসে, সেটাই করবো।’ অ্যাকসিডেন্ট তো হবেই। ট্রেনও অ্যাকসিডেন্ট হয়।
শাহজাহান কামাল আরও বলেন, আরেক ভাই বলেছেন যে, শাহজাহান খান হলেন লঞ্চের মন্ত্রী, পানির মন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী, আর আমি হলাম আকাশ মন্ত্রী। আমাকে বিমানমন্ত্রী বলা হয়। কিন্তু ২০০৭ সালে বিমান কোম্পানি হয়, প্রাইভেট সেক্টর বলা চলে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করে দেওয়া হয়েছিল। কেন করে দেওয়া হয়েছিল, সরকারের যখন এটা চালানোর সক্ষমতা নেই, কিন্তু আপনারা (অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিমান কর্মকর্তা) তো সেটা দেখাতে পারলেন না। ২০০৭ সালের পরে আজকে ২০১৮ সাল, এখন পর্যন্ত শুধু লসই দিচ্ছেন।
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাকে বিমানমন্ত্রী বলা হয়। আমি দুঃখের সঙ্গে বলি, আমার কী দায়িত্ব আছে। গতকাল বিমানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে আমি জানি? আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে? একবার আমাকে জিজ্ঞাসা করলে অন্তত আমার স্যাটিসফেকশন হতো। ১০ বছর করুক, আমাকে তো জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।