পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারের মাধ্যমে আত্মপ্রচারের প্রবণতা সীমা ছাড়িয়েছে। দৃষ্টিকটুভাবে সাধারণ নেতাকর্মী ও সুবিধাবাদীরা যত্রতত্রভাবে নিজেদের আত্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে রঙবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে পুরো রাজধানীসহ সারাদেশের দৃশ্যমান স্থান ভরে ফেলছে। এসব ব্যানার-ফেস্টুনে যতটা না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দৃশ্যমান হয়, তার চেয়ে সেসব আত্মপ্রচারণায় ব্যস্ত নেতাকর্মীদের ছবি বেশি ‘ফোকাসড’ হয়। যদিও দলীয় নির্দেশনা আছে কোনো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন-বিলবোর্ডে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়া কারও ছবি দেয়া যাবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দলে গ্রহণযোগ্যতা নেই বা দায়িত্বপূর্ণ কোনো পদে না থেকেও শত শত নেতাকর্মী নিজেদের ছবিসম্বলিত এসব বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার তৈরি করছেন এবং তা বিভিন্ন স্থানে টাঙাচ্ছেন। এমনকি, বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে স্থাপিত তোরণগুলোতেও বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির তুলনায় নেতাকর্মীদের ছবিই প্রাধান্য পাচ্ছে। এসব নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই দল ক্ষমতাসীন হওয়ার পর হরেক নামে গড়ে ওঠা অনেক ভুঁইফোঁড় সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে একই কাজ করছেন। এতে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার পাশাপাশি এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবরাখবরও প্রকাশ হচ্ছে। নিজ দল ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম চিঠির মাধ্যমে দল ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ে এ নির্দেশ পাঠানো শুরু করেছেন। গত সপ্তাহের সোমবার থেকে দলের জেলা ও উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়কদের কাছে দলের সাধারণ সম্পাদকের ওই চিঠি ডাকযোগে পাঠানো শুরু হয়। পরের দিন মঙ্গলবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় উপস্থিত দলের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়কদের কাছেও চিঠিটি তুলে দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, দলীয় নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দলীয় ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। তাতে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ছবি থাকছে। অথচ সেখানে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি খুব ছোট আকারে পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু।
এতে বলা হয়, সুতরাং বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ব্যতীত অন্য কারও ছবি থাকলে সেসব বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার জন্য দেশের সব জায়গায় আপনার নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদানের আহ্বান জানানো হলো। এরপরই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় তা চূড়ান্ত করা হবে। এ নির্দেশের কথা কেবল দল ও সহযোগী সংগঠন নেতাদের চিঠির মাধ্যমেই নয়, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশবাসীকেও জানানো হবে বলেও কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন।
ব্যানার-পোস্টারের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, জানতে চাইলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দলীয় সভায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবি দিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও পোস্টার তৈরি করা যাবে না।
রাজধানীজুড়ে শোভা পাচ্ছে হাজার হাজার পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। কোথাও কোথাও সড়ক-ফুটপাতে সুবিশাল তোরণ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ আয়োজন। তবে বঙ্গবন্ধু যেন উপলক্ষ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য ‘নেতা’দের আত্মপ্রচার। সরকারি দল আওয়ামী লীগের টানা দ্বিতীয়বার সরকার পরিচালনায় নগরজুড়েই এখন দলটির নেতাকর্মীদের পোস্টার-ফেস্টুনে চলছে আত্মপ্রচারের প্রতিযোগিতা। এ উপলক্ষ আরও বেড়েছে চলতি মাসের ১৭ এপ্রিলকে ঘিরে। ওইদিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। গত রবিবার রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, যাত্রাবাড়ি-গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, আজিমপুর, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডা, তেজগাঁও, মগবাজার, রমনা, মতিঝিল এলাকা ঘুরে পোস্টার-ফেস্টুনের এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে এসব পোস্টার-ফেস্টুন জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনকে ছাপিয়ে ছোট-বড় নেতাদের আত্মপ্রচারই বড় হয়ে উঠেছে। দল বা সংগঠন নয়, ব্যক্তি উদ্যেগে দেয়া বেশির ভাগ পোস্টার-ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি স্থান পেয়েছে ওপরে বাঁ পাশে এক কোনায় ছোট করে। প্রচারকারীর নিজের এবং তিনি যার অনুসারী, তার বা তাদের ছবি আছে বিশাল অংশজুড়ে।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়াও অনেক মন্ত্রী এবং দলীয় সিনিয়র নেতাদের ছবি দিয়েও সুযোগ সন্ধানী নেতারা বড় বড় ব্যানার-পোস্টার, তোরণ ও বিলবোর্ড তৈরি করেন। এসব নিয়ে তারা বিব্রত হলেও অনেক সময় প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেন না, স্থানীয় রাজনীতির স্বার্থে। এ ধরণের এক অভিজ্ঞতার কথা ইনকিলাবকে জানান আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, যিনি বিগত মহাজোট সরকারের সময় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, দেখা যায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় যখন যাই, তখন আমার নাম দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন সড়কে বড় বড় তোরণ করা হয়। সেসব তোরণে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছোট করে ছবির পাশে আমার নিজেরও একটি ছোট ছবি যুক্ত থাকে। আর যে বা যিনি ওই তোরণ করেছেন পুরো তোরণের ‘দুই ঠাংয়ে’ থাকে বিশাল সাইজে তার নিজের ছবি। এসব বিষয় আমাদের বিব্রত করলেও স্থানীয় রাজনীতির স্বার্থে আমরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারি না। যদিও এসব না করতে দলীয়ভাবে সুষ্পষ্ট নির্দেশ আছে। কিন্তু নেতাকর্মীরা এসব মানতেই চায় না। বিষয়টি সত্যি খুব বিব্রতকর।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় বিভিন্ন দেয়ালে বা রাস্তার পাশে বাঁশ দিয়ে সাটানো রয়েছে আওয়ামী লীগ এবং একাধিক ভূঁইফোর সংগঠনের নেতাদের ছবি সম্বলিত পোস্টার বা সাইনবোর্ড। এতে ঢাকা-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণকে মহান স্বাধীনতা দিবস, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও ভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একইভাবে সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের ছবি সংবলিত পোস্টার ঝুলছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন তিনি।
দেখা গেছে, এবারও স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে নগর জুড়ে পোস্টার-ফেস্টুনে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনকে ছাপিয়ে ছোট-বড় নেতাদের আত্মপ্রচারই বড় হয়ে উঠে। দল বা সংগঠন নয়, ব্যক্তি উদ্যেগে দেয়া বেশির ভাগ পোস্টার-ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি স্থান পেয়েছে ওপরে বাঁ পাশে এক কোনায় ছোট করে। গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে দেখা যায় নানা ধরনের পোস্টার ও ব্যানার। দলীয় কার্যালয়ের সামনে দক্ষিণের একটি বিল্ডিংয়ের সঙ্গে টানানো হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজš§ লীগের একটি ব্যানার। সেই ব্যানারে লেখা ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার, প্রজš§রা রুখবে সকল যুদ্ধাপরাধী জামায়াত শিবির রাজাকার।’ স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির নিচেই সংগঠনের তিন নেতার ছবি শোভা পাচ্ছে। একইভাবে নিজেদের ছবি দিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের দুই নেতা। সেখানে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জš§দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছেন এসব ব্যানার-পোস্টারকে ছাপিয়ে খোদ আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেই আলোচনার বিষয় বস্তু হয়ে উঠেছে হকার্স লীগের শেখ সোহেল নামের এক নেতার ব্যানার। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৬ কোটি মানুষের পক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ২৬ শে মার্চকে কেন্দ্র করে মতিঝিল এলাকার অধিকাংশ সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তোরণ নির্মাণ করা হয়। এতে করে প্রতিষ্ঠানের নাম দেখা ঢেকে যায়। এ ছাড়া কার্যালয়ের চারদিকে টানানো রয়েছে হরেক রকমের ব্যানার। এমন অনেকেই পোস্টার-ফেস্টুন করেছেন, যাদের কোনো দলীয় পদ-পদবি নেই। গুলশানে এ রকম একটি ফেস্টুন চোখে পড়ে। ফেস্টুনের ওপরে বাঁ পাশের কোনায় একটি গোলকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। ডান পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবির চেয়ে বড় আকারে যুবলীগের দুই নেতার ছবি। আর নিচে সবচেয়ে বড় ছবিটি মো. হারুন প্রধানের, যিনি ওই ফেস্টুনটি করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভূইফোর ও সুবিধাবাদী নেতাদের এ ধরণের আত্ম প্রচারে অনেকটা বিরক্ত দলের সিনিয়র নেতারা। এ ধরণের আত্ম প্রচারের মাধ্যমে এসব সুযোগ সন্ধানীরা নিজেদের আখের গোছাতে অপব্যবহার করে থাকে। নিজেদের দলের কেউ কেটা ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা দাবি করে তারা নানা অপকর্ম করে থাকে, যা মূলত দলীয় আদর্শ বিরোধী। একই সঙ্গে তাদের এসব কর্মকান্ড দলের ইমেজেরও চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। যারা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে পোস্টার করে আত্মপ্রচার চালাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। মূলত দলীয় প্রধান এবং এমপি-মন্ত্রীদের ছবির সঙ্গে নিজেদের ছবি দিয়ে পোস্টার করে নিজ নিজ এলাকায় জানান দিতেই এসব করছে। এছাড়াও এসবের নেপথ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি। আওয়ামী লীগের নেতাদের ছবির পাশে নিজের ছবি বড় করে পোস্টার করে এলাকায় চাঁদাবাজি করাই মূল উদ্দেশ্য।
তাই বিষয়টি নিয়ে অনেক দায়িত্বশীল নেতা বিভিন্ন সময় নিজেদের বিরক্তির কথা প্রকাশ্যেও বলেছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডকে সামনে রেখেও অনেকে আত্ম প্রচারণায় নামেন বলে জাতীয় শোকের মাস গত আগস্টে অভিযোগ করেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ওই সময় বলেন, কেউ কেউ ১৫ আগস্টকে আত্মপ্রচারের উপলক্ষ করেছেন। সচিবালয়ের সামনে ছবির ছড়াছড়ি। যেন সচিবালয় নয়, কোনো পার্টি অফিস। বিলবোর্ড ও ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছবি। যাদের সৌজন্যে এগুলো টাঙানো হয়েছে তাদেও বড় বড় ছবি! এটা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করা নয়। আসলে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানের নামে ১৫ আগস্টকে অনেকে আত্মপ্রচারের উপলক্ষ করেছেন।
তিনি এসব নেতাকে লক্ষ করে আরও বলেন, কাগজের ছবি ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারের ছবি মলিন হয়ে যাবে, পাথরের ছবি ক্ষয়ে যাবে; কিন্তু হৃদয়ের ছবি রয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে ছবি এঁকেছেন। তাই মানুষের হৃদয়ে ছবি আঁকুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।