পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনুমোদন পেল আরো দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদন পাওয়া দুই বিশ্ববিদ্যালয় হলো- খুলনায় খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহীতে আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে বুধবার আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দুটি অনুমোদনের প্রস্তাব আগেই পাঠানো হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার এই দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৯টিতে। এ ছাড়া অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরো আটটি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুমোদন পাওয়া দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। তিনি আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অনুমোদন নিয়ে ঢাকায় সেটি পরিচালনা করছেন।
২৩ শর্তে নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় নামে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি স্থাপন করা হবে রাজধানীর গুলশানে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ড. এম. জুবায়দুর রহমান।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দেখানো হয়েছে ১৪০ কেডিএ, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ সড়ক, ছোট বয়রা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। আর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দেখানো হয়েছে ২১৬/১ তালাইমারি, পোস্ট- কাজলা, রাজশাহী।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে একই আইনের ৭-এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়। এটি স্থাপনের আবেদন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসৈশিং এমপি। শামসুল আলম নামে একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী শাহ মখদুম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন করেছেন। বিরোধী দলীয় নেতা নিজ নামে রওশন এরশাদ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ স্থাপনের আবেদন করেছেন। সাবেক এমপি এবং হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা রাজধানীর সেনপাড়ায় সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন। ‘অ্যাপোলা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য শামসুল আলম ভূঁইয়া। পটুয়াখালীর লাউকাঠিতে সাউথ রিজন ইউনিভার্সিটি স্থাপনের আবেদন করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি নামে রাজধানীর মহাখালীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন করেছেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের প্রেসিডেন্ট এইচ এন ভেন সঙ্ঘনায়ক শ্রদ্ধানন্দ মহাথের ইউনিভার্সিটি অব অতীশ দীপঙ্কর বাজরাগজনি স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন।
এদিকে, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকার ছয় দফা সময় দিলেও এখন পর্যন্ত ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি।
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি সেগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষা-বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।