Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ৯:৪২ পিএম

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেছে দলের নেতাকর্মীরা। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা না জানায় সাধারণ মানুষ রয়েছেন ধোঁয়াশার মধ্যে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বেগম জিয়ার কোটি কোটি ভক্ত অনুরাগী। বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে, তাঁর হাত-পা ও কোমরের ব্যথা আরও বেড়েছে। নির্জন, পরিত্যক্ত ও স্যাঁতসেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁকে রাখা হয়েছে। তাঁকে দেওয়া বিছানা বালিশ অর্থপেডিকের একজন রোগীর জন্য অনুপযোগী। সরকারি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরাও অর্থপেডিক বেড দেয়ার সুপারিশ করলেও এখনও তাঁকে সেই বেড দেয়া হয়নি। জরুরী ভিত্তিতে তাঁর এমআরআইসহ উন্নত চিকিৎসার দরকার। কিন্তু বারবার বলার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে উপেক্ষা করছে। ক্ষমতাসীনদের দাপটে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের মুঠোবন্দী। ফ্যাসিবাদের রোগ-ল²ণ কারা কর্তৃপক্ষের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-সরকার দেশনেত্রীকে এক অবনতিশীল স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে রাখার জন্যই কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। দলটি সুচিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনেকগুলো রোগ রয়েছে জানিয়ে যেকোন সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়ার অনাকাক্সিক্ষত কোন কিছু হলে তার জন্য সরকার দায়ী হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তারা। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন: ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। উনি বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত বহু বছর ধরে, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে। ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়া একজন হার্টের রোগী। বিগত ১০ বছর ধরে তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ পরিবেশ এবং একাকীত্বের কারণে উনি যেকোন সময় একিউটর হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে তিনি চোখের অপারেশন করে ফিরেছেন। এ অবস্থায় ওনার চোখের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া তার সবচেয়ে বড় সমস্যা হাটুতে। তিনি ৩০ বছর ধরে অষ্টিও আর্থাইটিস রোগে ভুগছিলেন, যা তার স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল এবং হাঁটুর ব্যাথায় ভুগছিলেন। আমরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে এমআরআইসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু আমাদের কোন চিকিৎসককেও দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। হাসপাতালেও নেয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
৭৩ বছর বয়স্কা কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে প্রথম দফা উদ্বেগ দেখা দেয় গত ২৮ মার্চ। ওই দিন দুদকের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতির মামলার শুনানীতে আদালতে বেগম খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতা জনিত কারণে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি। দুদকের আইনজীবী প্রায় অভিন্ন তথ্য দিয়ে জানান, অসুস্থতার কারণে বেগম জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। পরের দিন ২৯ মার্চ কারাবন্দী নেত্রীকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। দুপুর পর্যন্ত খবর ছিল মির্জা ফখরুল কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু বিকেলে জানানো হয় বেগম জিয়া অসুস্থ সে কারণে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার স্থগিত করা হয়েছে। মূলত তখন (২৯ মার্চ) থেকেই বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুরু হয়। এরপর ৭ এপ্রিল মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সরে পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আনা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর খালেদা জিয়াকে পুনরায় কারাগারে নেয়া হয়। পরের দিন মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলে জানায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর মো. শামছুজ্জামান। তিনি বলেন, কারাগারে আসার আগে থেকেই তাঁর আরথ্রাইটিসের সমস্যা ছিল। এখন সেই সমস্যা কিছুটা বেড়েছে। তাঁর বাঁ পা ও বাঁ হাতে একটু ব্যথা হয় এখন। যেহেতু বাঁ পাশে ব্যথা, তাই ধরে নেওয়া যায় তাঁর কোমরে কিছুটা সমস্যা আছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বিছানা ও বালিশ পরিবর্তনের সুপারিশও করে। কারণ তাঁকে দেওয়া বিছানা বালিশ অর্থপেডিকের একজন রোগীর জন্য অনুপযোগী। সরকারী মেডিকেল বোর্ড এর চিকিৎসকরাও অর্থপেডিক বেড দেয়ার সুপারিশ করলেও এখনও (১০ দিনেও) তাঁকে সেই বেড দেয়া হয়নি। জরুরী ভিত্তিতে তাঁর এমআরআইসহ উন্নত চিকিৎসার দরকার বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, খালেদা জিয়া অসুস্থ্য অবস্থায় কারান্তরীন হয়েছে। তিনি আগে থেকেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিশেষ করে তার সমস্যার কারণে কয়েকটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হয় নিয়মিতই। কিন্তু কারাগারে এখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে। নরমাল কিছু চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অথচ তার অসুস্থ্যতার জন্য এমআরআইসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। এগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই। আর এগুলোতে বিএনপির আস্থাও নাই। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, অতীতে ভিভিআইপিকে তাদের ইচ্ছামত জায়গায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ১/১১’র তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন বলেও বিএনপির নেতারা জানান। তাদের অভিযোগ সেই সময় যদি ইচ্ছেমত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া যায় তাহলে এখন কেন নয়? খালেদা জিয়া পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সেই আবেদনে অনুমোদনও দিয়েছে। কিন্তু এরপর থেকেই আর কোন সাড়া নেই। কারা কর্তৃপক্ষ কোন কথা বলছে না। বলা হচ্ছে জেল কোড অনুযায়ি ব্যক্তিগত চিকিৎসক নেয়া এবং সরকারি হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ নাই। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার ইচ্ছা করলে মানবিক কারণে অনেক কিছু করতে পারে।
বিএনপি’ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল হলেও দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনীতিক নন; তিনি একটি আদর্শ-দর্শন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি হাসলে আলোকিত হয় হাজারো মুখ; মুখ ফেরালে লাখো মানুষের জীবনে নামে গভীর অন্ধকার। কর্মময় জীবনে তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার বিমূর্ত প্রতীক। গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে ৯ বছর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশবাসীর কাছে তিনি ‘আপোষহীন নেত্রী’র খেতাব অর্জন করেছেন। জনগণের ভোটে তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার কোটি কোটি অনুসারী সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। মা, মাটি ও মানুষের এই নেত্রী দেশের নারীদের কাছে ‘আইডল’। দেশের জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী তরুণ-তরুণীরা তাঁকে নিয়ে আগামীর স্বপ্ন বোনেন। নতুন প্রজন্ম দেখেন জেগে ওঠার স্বপ্ন। রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে রয়েছে বেগম জিয়ার অনুসারী। শিশু, যুবা, বয়স্ক, বৃদ্ধা সব স্তরের মানুষ খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল; তাঁকে চেনেন, জানেন, মানেন। তিনি (বেগম জিয়া) কি রোগে ভুগছেন তা জানতে না পারলেও প্রিয় নেত্রীর রোগমুক্তির জন্য মানত করছেন, আল্লাহর কাছে রোগমুক্তির প্রার্থনা করছেন, রোযাও রাখছেন অনেকেই। যার প্রতি দেশের এতো মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা সেই নেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে ধোঁয়াশায় থাকতে চায় না মানুষ। মানুষ জানতে চায় প্রকৃত অর্থেই বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন?
খালেদা জিয়ার অসুস্থ্যতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্জন, পরিত্যক্ত ও স্যাঁতসেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সাকে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। তাঁকে দেওয়া বিছানা বালিশ অর্থপেডিকের একজন রোগীর জন্য অনুপযোগী। সরকারী মেডিকেল বোর্ড এর চিকিৎসকরাও অর্থপেডিক বেড দেয়ার সুপারিশ করলেও এখনও তাঁকে সেই বেড দেয়া হয়নি। জরুরী ভিত্তিতে তাঁর এমআরআইসহ উন্নত চিকিৎসার দরকার। কিন্তু বারবার বলার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে উপেক্ষা করছে। আগে পরিবারের সদস্যদেরকে ৭ দিন পরপর বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে দেয়া হলেও এখন ১০ দিন পর দেখা করার নির্দেশ হতে যাচ্ছে, এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে বেগম জিয়াকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেয়া। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর সুচিকিৎসা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের টালবাহানা অত্যন্ত রহস্যজনক। সরকারের নির্দেশেই কারা কর্তৃপক্ষ বেগম জিয়ার প্রতি করছে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ। একজন জাতীয় নেতার ওপর এহেন নির্দয় আচরণ শুধুমাত্র প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা ছাড়া অন্য কোন কারণ নেই। এর পেছনে কোন সুগভীর চক্রান্ত রয়েছে বলেই জনগণ বিশ^াস করে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার এক্সরে করানোর পর মেডিকেল বোর্ড অর্থপেডিকস পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এখনো সেই চিকিৎসা করা হয়নি। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে এমন কেন? ১/১১ সময় তো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বন্দী থাকা অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। একটি অনির্বাচিত সেনা সমর্থিত সরকার যদি একজন বন্দীকে এই সুবিধা দিতে পারে, তাহলে এখন তো দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন। যিনি নিজেও এর ভুক্তভোগী ছিলেন। তাহলে খালেদা জিয়াকে কেন সেই সুযোগ দেয়া হচ্ছে না? খালেদা জিয়ার যে অসুস্থ্যতা তার জন্য তার এমআরআই সহ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন জানিয়ে বিএনপির এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ইচ্ছা করলে যেকোন হাসপাতালে এমআরআই করা যায় না। উনার (খালেদা জিয়া) ব্যক্তিগত ডাক্তারদের দেখতে দিতে হবে। চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দিবে সে অনুযায়ি চিকিৎসা নিবেন। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করছেন, তাদেরকে দেখতে দিলে সমস্যা কোথায় তারা বলতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে সরকারের আরও সচেতন ও সতর্ক হওয়া উচিত মন্তব্য করে ডা. জাহিদ বলেন, পিজিতে আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সামনে তার পরীক্ষা করা হয়নি। তাই কি পরীক্ষা করা হয়েছে কি সমস্যা তা আমরা জানি না। ব্যক্তিগত সহকারি চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছেন সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নির্দেশনাও দিয়েছেন কিন্তু তার বাস্তবায়ন দেখছি না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার এবং সংশ্লিষ্টকেই এর দায় নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেয়া হচ্ছে। এমনকি যেদিন পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) আনা হয়েছিল সেদিনও ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মতামত নিতে দেয়া হয়নি। চেকআপও করতে দেয়নি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর তারা অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তা কারা কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কেউ আটকে রেখেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ