Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসন্ন মাহে রমজানে বাংলাদেশী ওমরাযাত্রীরা অনিশ্চয়তায়

৫০০ কোটার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ৭:২২ পিএম

পাঁচ শ’ কোটা’র বেড়াজালে পড়ে আসন্ন মাহে রমজানে বাংলাদেশী ওমরাযাত্রীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। গত ২৮ অক্টোবর (হিজরী-১৪৩৯) সফর মাস থেকে ওমরাযাত্রী সউদী আরবে যাওয়া শুরু হয়েছে। ২শ’ ২৭ টি ওমরাহ এজেন্সি’র মাধ্যমে এযাবৎ প্রায় ৮০ হাজার ওমরাযাত্রী ওমরাহ পালন করতে সউদী আরবে গেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত ৫শ’ কোটায় ওমরাযাত্রী পাঠিয়ে প্রায় ৬০/৭০ টি ওমরাহ এজেন্সি তাদের কার্যক্রম সুনামের সাথে শেষ করেছে। তারা ওমরাহ কোটা বৃদ্ধির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গত জানুয়ারি মাস থেকে দরখাস্ত জমা দিয়েছে। ওমরাহ কোটা বৃদ্ধির এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কেউ কেউ ৫শ’ কোটার অতিরিক্ত ওমরাযাত্রীর মোফা এনে সউদী আরবে ওমরাযাত্রী পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬-২০১৭ সালেও ৫শ’ নির্ধারিত কোটা শেষ হবার পরে পরবর্তীতে আরো ৫শ’ কোটা বাড়ানো হয়েছিল। চলতি বছর ওমরা’র নামে সউদী আরবে মানবপাচারের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। তা’হলে ওমরাযাত্রী কোটা বৃদ্ধি করতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। নাম প্রকাশ করার শর্তে একজন ওমরাহ এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

রাজশাহী ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী মুফতী মুস্তাফিজুর রহমান ইনকিলাবকে জানান, তার ৯টি ওমরাহ এজেন্সি’র মধ্যে ৬ টি’রই কোটা শেষ হয়ে গেছে। এ যাবত সাড়ে তিন হাজার ওমরাযাত্রীকে সউদী আরবে পাঠিয়েছেন তিনি। মাহে রমজান উপলক্ষে কোটা বৃদ্ধির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদন জমা দিয়েও তিনি কোনো সাড়া পাচ্ছেন না বলে জানান। একটি ওমরাহ লাইসেন্স-এর কার্যক্রম চালাতে হলে সউদী আরবে দুই লাখ রিয়াল ব্যাংক গ্যারান্টি ও এক লাখ রিয়াল ক্যাশ গ্যারান্টি জমা রাখতে হয়। এতো টাকা বিনিয়োগ করে ৫শ’ কোটার বেড়াজালে পড়ে চাহিদানুযায়ী ওমরাযাত্রী পাঠাতে না পেরে সংশ্লিষ্ট ওমরাহ এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাবের একজন সদস্য জানান, ওমরাহ এজেন্সি সানফ্লাওয়ার ৫শ’ কোটার বাইরে প্রায় ২ হাজার ওমরাযাত্রীকে সউদী আরবে পাঠিয়েছে। চট্টগ্রামের ওমরাহ এজেন্সি রাহাত ট্রাভেলস ও ফিকাস ট্রাভেলসসহ আরো বেশ কিছু ওমরাহ এজেন্সি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আইনকে অমান্য করে ৫শ’ কোটির বাইরে অতিরিক্ত মোফা এনে ওমরাযাত্রীদের ওমরাহ পালনের জন্য সউদী আরবে পাঠাচ্ছে। এতে যারা কোটার আইনকে মান্য করে অলস বসে আছেন তারা ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেনা। একাধিক ওমরাহ এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হাবের ওমরাহ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম সরওয়ার সম্প্রতি ইনকিলাবকে বলেন, অধিকাংশ ওহরাহ এজেন্সি’র কোটা পূরণ হয়নি বিধায় এখনো ওমরাযাত্রীর কোটা বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, যেসব ওমরাহ এজেন্সি’র কোটা খালি রয়েছে সেসব এজেন্সি’র মাধ্যমেই মাহে রমজানে ওমরাযাত্রীগন ওমরাহ পালনের জন্য সউদী আরবে যেতে পারবেন। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (হজ) মো: হাফিজ উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, ওমরাহ কোটা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। তবে এখনো অনেক ওমরাহ এজেন্সি’র কোটা খালি রয়েছে সে সব এজেন্সি’র মাধ্যমে যাত্রীরা ওমরাহ পালনে সউদী যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ওমরাহ কোটা বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে তা’ পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও যুগ্ম-সচিব (হজ) উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ