পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি একটি অস্বাভাবিক সরকার তৈরির পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার সমালোচনা শুনতে এবং সেই অনুযায়ী সংশোধন হতে আগ্রহী। আমরা এখানে গণতন্ত্র অনুসরণ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেগম জিয়া ও বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটি নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত। তারা একটি অস্বাভাবিক সরকার তৈরির পাঁয়তারায় আছে। যার জন্য তারা গণতন্ত্র সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোনো প্রস্তাবনা তুলে না ধরে কেবল শর্ত দিচ্ছে।
রোববার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভিজিট বাংলাদেশ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় বাংলাদেশ সফররত ১০টি দেশের ২৭ জন সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময় সভায় সরকারের এই মুখপাত্র এসব কথা বলেন। যেসব দেশের সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সেই দেশগুলো হলো: ভারত, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ইথিওপিয়া, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি নানা সময় বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নানা অভিযোগ করে আসছে। দলটির অভিযোগ, তারা নির্বাচনে আসুক, এটা সরকার চায় না। তারা দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। এ প্রসঙ্গে একজন বিদেশি সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আপনারা কী উদ্যোগ নিচ্ছেন? জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে শুধু শর্ত দেয়।
উগ্রবাদীদের হাতে বেশ কয়েকজন ব্লগার হত্যার ঘটনায় সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে- এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্লগার হত্যার বিচার চলছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল দেখা গেলেও ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল কেন দেখা যায় না- ভারতীয় সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ইনু বলেন, বিষয়টি ব্যবসায়িক। বেশ কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা করছি।
মতবিনিময়ে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে সরকারের সাফল্যও তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মোড় বদলকারী অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করার ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। সম্পদের উন্নয়ন হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষা হয়েছে এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আরেক ধাপ উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এ চমৎকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন হয়েছে সংবিধানের উপর আস্থা স্থাপন করার জন্য, চার নীতির উপর আস্থা স্থাপন করার জন্য।
তিনি বলেন, সমাজের চাহিদা ও রাষ্ট্রের ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়ে উদ্যোক্তা ও বাজার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ চমৎকার উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এ উন্নয়নটি বাধা-বিঘ্নের মধ্য দিয়ে আমাদের অর্জন করতে হয়েছে। গত ৯ বছরে সন্ত্রাসীরা, আগুন সন্ত্রাসীরা, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং তার পৃষ্ঠপোষক বিএনপির অস্বাভাবিক অগণতান্ত্রিক নাশকতা এবং অন্তর্ঘাতমূলক কাজের মধ্যে উন্নয়নের কাজটা এগিয়ে নিতে হয়েছে। তা না হলে বাংলাদেশ আরও উন্নত হতে পারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।