Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’

তারিক ইমন | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:০৮ পিএম

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যখন তীব্র আন্দোলন ঠিক সেই সময়ে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বুধবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আন্দোলনরত বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের হাতে ‘চাইলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’ লিখা ও মতিয়া চৌধুরীর ব্যঙ্গাত্মক ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এসময় তারা ‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ ‘ম-তে মতিয়া, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনরত শাওন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী ইনকিলাবকে বলেন, আমারা কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে আন্দোলন করছি না। আমারা আমাদের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি। এখানে আমাদেরকে কেন রাজাকারের বাচ্চা বলা হবে? অধিকার চাইলেই কি মানুষ রাজাকার হয়ে যায়! আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, দেশের একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি এধরনের কথা কিভাবে বলতে পারেন? আমরা তার এ কথার ধিক্কার জানাই।

এর আগের দিন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে মতিয়া চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা পোড়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যের জন্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেয় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কৃষিমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলনকারীরা। পরে ৮টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এনে পোড়ানো হয় তার কুশপুত্তলিকা।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন এবং রোববার দিবাগত রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসায় হামলার বিষয়ে সোমবার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। এই রাজাকারের বাচ্চাদের অবশ্যই আমরা দেখে নেব। তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে ঢাবি উপাচার্যের বাসায় হামলা চালিয়ে তার গায়ে হাত দেয়া, ভাঙচুর ও তাÐব চালানো কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি জঘন্য অপরাধ। এটি ঢাবির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়’।



 

Show all comments
  • নূর- মোহাম্মদ ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:৪৯ পিএম says : 0
    না, তোমরা রাজাকার নও। তোমরা দেশের সূর্য্য সন্তান। যারা বলছে, তারা খুদ কুড়ার লোভে, তোমাদিগকে অপবাদ দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কোন দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নাই। এই লোভীরা যখন আবদার করে কিছু পেল না, তখন তারা বঙ্গবন্ধুর পিছু নিল। হাজার বৎসরের স্রেষ্ট সন্তানকে গালা গালি করলো। আজ তারা আবার আমাদের তরুণ প্রজন্মের পিছ নিল। জনগণ তাদিগকে অবান্ছিত ও দিক্কার দিচ্ছে। ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার

২৭ আগস্ট, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ