পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যেসব অমীমাংসিত ইস্যু আছে সেগুলোর সুরাহায় ভারত কাজ করছে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ৬টি সমোঝতা স্বারক স্বাক্ষর হয়। যার দুটি হচ্ছে শিক্ষা এবং স্থানীয় সরকার খাতের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫০ কোটি টাকার অনুদান। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো উন্নয়নে ২৫ কোটি টাকা এবং ৫০৯টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ও ভাষা সংক্রান্ত পরীক্ষাগার স্থাপনের জন্য ২৫ কোটি টাকা অনুদান।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্রæত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে। কেন না বিষয়টির সঙ্গে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা জড়িত। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পরস্পরের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তারা ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে। ভারত বিশ্বাস করে, চুক্তি অনুযায়ী দ্রæতই শতভাগ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন হবে।
বিজয় কেশব গোখলে বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ- উভয় দেশকেই সহযোগিতা করছে ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ উচ্চতায় রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের ৫৫টি ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা, জ্বালানি ও উন্নয়ন রয়েছে। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সকাল সাড়ে নয়টায় পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গত রোববার বিকেলে ঢাকায় আসেন। ওই রাতেই তিনি বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের কিছু প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে দেশের ১০ বিশিষ্ট নাগরিক অংশ নেন। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ হাই কমিশনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে গোখলে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট, চীনা বিনিয়োগসহ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের নানা বিষয় জানার চেষ্টা করেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে- নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেও বিজয় কেশব বলেছেন খুবই সামান্য। তবে সেখানে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে যে বার্তাটি দেয়ার চেষ্টা করেছেন তা হলো- জাতীয় সংসদ নির্বাচন একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকা সফর করেছিলেন। তার সফরটি সেই সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আলোচিত ছিল। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে দেয়া সুজাতা সিং এর প্রস্তাব নিয়ে দেশ বিদেশে বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। বিজয় কেশব গোখলের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জামির, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, মাহজাবিন খালেদ এমপি, অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত, মোহাম্মদ এ আরাফাত, ফয়জুল হক রাজু, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।