পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারে এখন ফিলিপাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। আগামীকাল মঙ্গলবারের সিনেট শুনানিতে অংশ নেবেন তারা। এদিকে ম্যানিলা গেছেন ৩ গোয়েন্দা কর্মকর্তাও। তারা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করবেন। এসব কর্মকর্তাও শুনানিতে অংশ নেবেন। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ ফিলিপিনো গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। অপরদিকে রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে গঠিত ড. ফরাসউদ্দিন তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সচিবালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরাম, ইআরএফের সাথে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ছাড়া রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রতিবেদন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ চূড়ান্ত করেছে ফিলিপাইনে মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থা এএমএলসি। ফিলিপাইনে পাচার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারে নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফিলিপাইন সরকার যেমন সচেষ্ট, তেমনি সব তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষও। অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইন সিনেটের শুনানিতে অংশ নিয়ে এরই মধ্যে দেশটির মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থা এএমএলসির কাছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছেন ব্যবসায়ী কিম অং। আরো প্রায় এক কোটি ডলার দিতেও সম্মত এই ব্যবসায়ী।
দেশটিতে অর্থ পাচারের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ চূড়ান্ত করেছে এএমএলসি। গণমাধ্যম বলছে, ব্লুরিবন কমিটিতে দেয়া সাক্ষ্য ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে গঠন করা হয়েছে এই অভিযোগ। তবে অভিযুক্ত সাতজনের নাম প্রকাশ করেনি এএমএলসি।
৫ এপ্রিলের সিনেট কমিটির শুনানিতে নতুন করে আরো দুই ক্যাসিনো অপারেটরকে হাজির হতে বলা হয়েছে। অর্থ পাচারে কিম অং যে দুই চীনা ব্যবসায়ীর নাম বলেছেন, তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই তলব। শুনানিতে অংশ নেবেন রাজস্ব আদায়কারী সংস্থা বিআইআরের প্রতিনিধিও।
সিনেটের শুনানিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাও এখন ম্যানিলায়। শুনানির আগে আজ সোমবার তারা সাক্ষাৎ করবেন ফিলিপিনো এএমএলসি কর্তৃপক্ষের সাথে।
রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ ফিলিপাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করবেন। ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করবেন তারা। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, খোয়া যাওয়া পুরো অর্থই উদ্ধারের আশা বাংলাদেশ সরকারের। এজন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথাও জানান জন গোমেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।