Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে একটি অংশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ৯:২৯ পিএম

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকারের আশ্বাসে পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ। সোমবার রাত থেকে তারা শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ও বাংলা একাডেমি এলাকায় অবস্থান করে স্লোগান দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারীদের এই অংশটি বলছে, সব শিক্ষার্থী আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বিদ্যমান কোটার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে—সরকারে এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন আগামী ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এ ঘোষণা দেন। সোমবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় ৬টা ১৮ মিনিটে।

বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আর মামুনের নেতৃত্বে বৈঠকে পরিষদের ১৯ সদস্যের মধ্যে কানিজ ফাতেমা, আফসানা সাফা, একরামুল হক, আল ইমরান হোসাইন, লীনা মিত্র, আরজিনা হাসান, লুবনা জাহান প্রমুখ ছিলেন।

এর আগে বিকেল পৌনে চারটার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। সচিবালয়ে যাওয়ার আগে ফারুক হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তারা পূর্বঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের ব্যাপারে আলোচনা করতে সচিবালয়ে যাচ্ছেন। সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অনেক আশা নিয়ে যাচ্ছেন। সরকার তাদের যুক্তিসঙ্গত দাবি মেনে নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো-কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ না দেয়া, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ প্রদান করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার

২৭ আগস্ট, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ