পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৯ মার্চ) মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় আছে। এটা নিয়ে মন্ত্রীসভায় কিছুটা অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হলো এটার স্থায়ী স্টেকহোল্ডার। তারা বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে। দেখে এটা অবহিত করবে।’
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ইনফরমাল আলোচনা তো, ইনফরমালভাবে ধরুন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের যে বর্তমান কোটা পদ্ধতি, সেখানে মেধা কোটা রয়েছে ৪৫ শতাংশ। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ। আর প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘বিগত তিনটি বিসিএস এ মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত ছিল, মুক্তিযোদ্ধা বা অন্যান্য কোটা যদি কোটা সংশ্লিষ্টদের দিয়ে পূরণ না হয়, তাহলে সেটা মেধা তালিকায় যারা শীর্ষে অবস্থান করবে তাদের দিয়ে পূরণ করা হবে, এবং সেটিই করা হয়েছে।’
মন্ত্রীপরিষদ সচিব দাবি করেন, ‘৩৩তম বিসিএস-এ মেধা কোটায় পূরণ হয়েছে ৭৭.৪০ শতাংশ, ৩৫তম বিসিএস এ ৬৭.৪৯ শতাংশ এবং ৩৬তম বিসিএসএ ৭০.৩৮ শতাংশ। আসলে এখানে কোটার মাধ্যমে মেধা কখনো অবহেলিত হয় না।’
কোটা সংক্রান্ত এক ব্যাখায় মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেমন ধরুন মহিলা কোটায় যারা থাকবে, তাদের মধ্যে যারা মেধায় এগিয়ে তারাই পাবে। এমন নয় যে, তাদের মধ্যে মেধার কোনো প্রতিযোগিতা হয় না। ফলে তারা অবহেলিত হচ্ছে না। প্রতিটি সেক্টরেই মেধায় যারা অগ্রসর তারাই আসবে। কোটার দ্বারা কারও কোনো মেধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’
আন্দোলনকারীরা কোটা বাদ নয়, সংস্কার চায়- এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোটায় পূরণ না হলে মেধায় যারা এগিয়ে থাকবে তাদের মধ্যে থেকে নেয়া হবে। এটাইতো একটি সংস্কার।’
সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা এমন প্রসঙ্গে শফিউল আলম বলেন, ‘কথা হচ্ছে সংবিধানে বলা হয়েছে, মেধায় যারা অগ্রসর তাদেরকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। তবে কোটার কারণে যারা মেধাবী তারা বঞ্চিত হয়নি।’
‘দেখুন শুধুমাত্র মেধায় নিলে যারা অনগ্রসর জেলার জন্য যে জেলা কোটা রাখা হয়েছে তারা বঞ্চিত হবে। এটাতো বুঝতে হবে। তখন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা পাবে না। তবে বিগত মন্ত্রীপরিষদ সভায় যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতেই তো মেধাবীরা অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছে’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা আজ সেভাবে আলাপ করিনি। কেবিনেটের সোজা সিদ্ধান্ত যেটা ছিল- কোটাতে যদি যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না যায়, মেধা তালিকার শীর্ষে যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকে নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
দাবি আদায়ে রোববারের পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী গণপদযাত্রা কর্মসূচির একপর্যায়ে দুপুরের পর রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। রাতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে রাতভর সংঘর্ষ চলে। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ কয়েকশ’ শিক্ষার্থী আহত হন। এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।