পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্যতিক্রমী রায় ছাড়া অন্য রায় ঘোষণার ছয় মাসের বেশি নয়, এমন সময়ের মধ্যে স্বাক্ষর করতে হবে রায় দেয়া বিচারপতিকে। ‘পেশাগত অসদাচরণ’ এর অভিযোগে হাইকোর্টের এক সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতিকে অপসারণ সংক্রান্ত এক রায়ে এমন কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
রায়ে বিচারকদের আচরণবিধির (কোড অব কন্ডাক্ট) মধ্যে বলা হয়, একজন বিচারপতি আদালতের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করবেন এবং রায়/আদেশ দানের ক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব পরিহার করবেন। ব্যতিক্রমী রায় ছাড়া অন্য রায় ঘোষণার ছয় মাসের বেশি নয়, এমন সময়ের মধ্যে স্বাক্ষর করতে হবে।
২০০৩ সালের ০১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ আইনজীবীদের একটি সমাবেশে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগে, একজন আসামিকে জামিন পাইয়ে দেয়ার জন্য টাকা নেয়ার কথা বলেন ব্যারিস্টার রোকন। এরপর নিয়ম অনুসারে এ বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেন। একই বছরের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তার যাবতীয় কার্যক্রমকে ‘প্রকাশযোগ্য নয়’ বলে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণ করতে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করেন।
২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণের আদেশ দেন। ওইদিনই তাকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রেসিডেন্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সৈয়দ শাহিদুর রহমান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে ২০০৫ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি তার অপসারণের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ইদ্রিসুর রহমান নামে এক আইনজীবী আপিল করেন। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করা হয়। ওই বিচারপতির অপসারণের আদেশ অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।