পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধীরে ধীরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায়। ‘কোটা-কোটা, সংস্কার সংস্কার’ স্লোগানে এখন মুখর পুরো ক্যাম্পাস। এছাড়াও শাহবাগ, টিএসসি এবং দোয়েল চত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে স্লোগান দিচ্ছে। সকাল দশটার পর থেকেই ভিড় বাড়ছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে র্যাব-পুলিশ। জলকামান ও রাইট ভ্যান নিয়ে শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের। সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে আন্দোলনকারিরা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগোলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে আন্দোলনরতরা মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যায়।
একই দৃশ্য টিএসসি এলাকাতেও। সকাল এগারোটায় সরকার পক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও কোনরকম আলামত দেখা যায়নি। ওদিকে, মগবাজার এলাকা থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল ক্যাম্পাসের দিকে অগ্রসর হতে দেখা বলে আমাদের প্রতিবেদক জানিয়েছেন।
এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকাল সাতটার দিকে দোয়েল চত্বর এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সকাল থেকে সেখানে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে কার্জন হল ও দোয়েল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছাত্রলীগ পুলিশের পাশাপাশি লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের মিছিল থেকে গুলির অভিযোগও করেছেন আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, কাটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকাল রোববার রাত আটটা থেকে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।