পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোটারদের ভোট নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই অভিমত জানান। তিনি বলেন, প্রভাবমুক্ত ভোট করতেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতোয়েন করা হয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে একবারও বলিনি যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। ইসির আরো পাঁচজন সদস্য আছেন, তারা মিলেই এটা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত বলে আমি একদম মনে করি না।
‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য আবদুল আউয়াল। বলা হয় ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে প্রবাসীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ লাখ। এর বাইরেও দেশের বাইরে অনেকেই থাকেন। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ নামা তুলে ধরা হয়। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে বিপরীতমুখী বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল মুমিন চৌধুরী, নাসিম ফেরদৌস, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সেনা সমোতায়েন নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। আমাদের সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে। আমার মনে করি কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল। এ ব্যাপারে কমিশনকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সারা দুনিয়ায় শান্তিরক্ষায় কাজ করছে, বিভিন্ন দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু দেশের নির্বাচনে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারবে না। নির্বাচনে সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলে একটি পক্ষের অসুবিধা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন তো তাদের পক্ষ নেওয়া উচিত হবে না। যারা দেশে থাকেন এবং যাদের পক্ষে ভোট দেওয়া সহজ, তারাই তো ভোট দিতে পারছে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা তা দেখেছি। তাই আগে সহজ ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন, তারপর প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যাবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের বিদ্যমান আইনে প্রক্সি ও পোস্টাল ভোট দেয়ার সুযোগ আছে। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের ভেতর আবেদন করলে প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারেন। তবে এটা অনেকেই জানেন না। আগামী নির্বাচনে এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। এ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেয়া যায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ভাবনায় আছে। আগামী ১৯ এপ্রিল এ ব্যাপারে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।