পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে ছোট বড় রেলসেতু রয়েছে ১৫২৫টি। এর মধ্যে বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী বর্ষণ ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে কয়েকটি ধসেও পড়েছে। নিরাপদে ট্রেন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। এজন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭শ’ দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ নিয়ে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল গঠিত। রেলওয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ি, বর্তমানে এ অঞ্চলে ৪৭টি গুরুত্বপূর্ণ, ১৭৮টি মেজর ও এক হাজার ৩১০টি মাইনর সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ৮৭৫টি সেতু গত কয়েক বছরে সংস্কার করা হয়েছে। বাকি ৬৫০টি সেতুর মধ্যে বেশকিছু পুনর্নির্মাণ করতে হবে। পশ্চিমাঞ্চলের রেলসেতুগুলো উচ্চগতি ও বেশি এক্সেল লোডের ট্রেন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান রেলসেতুগুলো পুনর্নির্মাণ করে ২৫ টন এক্সেল লোডের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৭০২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা সরকারের তহবিল থেকে এই টাকা সরবরাহের প্রস্তাব করা হয়। সম্প্রতি রেল ভবনে প্রকল্পটি মূল্যায়নে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগে কারিগরি প্রকল্প গ্রহণ করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কথা বলা হয়। এর ভিত্তিতে প্রকল্পটি পুনর্গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সভা সূত্র জানায়, প্রকল্পটি প্রণয়নে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। তাই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) ফেরত দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, সভায় এ প্রস্তাবে আপত্তি তোলেন রেলওয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এটি একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প, যা গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। এজন্য ডিপিপিতে কোনো সমীক্ষা প্রতিবেদন সংযোজন করা হয়নি। তবে একটি সার্ভে রিপোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুগুলো সংস্কার বা আংশিক পুনর্নির্মাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ২৫ টন এক্সেল লোডের উপযোগী করতে হলে সেতুগুলো পুনর্নির্মাণ করতে হবে। সভায় জানানো হয়, আগে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিশদ ডিজাইন প্রণয়ন ও দরপত্র দলিলসহ সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডিপিপি পুনর্গঠন করতে হবে। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রাথমিক ডিপিপি (পিডিপিপি) প্রণয়ন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠাতে হবে।
প্রকল্পটির আওতায় ১ হাজার ৩৩৩ মিটার বক্স কালভার্ট ও চার হাজার ৬৫ মিটার গ্রিডার সেতু পুনর্নির্মাণ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুগুলোর অবস্থান রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাট, রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এবং খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনায়। এছাড়া ঢাকা বিভাগের গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও রাজবাড়ীর কয়েকটি সেতুও সংস্কার করতে হবে। চলতি বছর শুরু করে প্রকল্পটি ২০২১ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।