পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, অবিলম্বে হাজারিবাগের ট্যানারি সাভারে সরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, ট্যানারি স্থানান্তর নিয়ে সরকার আর কোনো খেলা খেলতে দেবে না। গুটি কয়েক মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন হতে দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৬ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেন, বর্তমানে সাভারের চামড়া শিল্পনগরির কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ৪০-৬০টি কারখানার চালুর মত অবস্থানে রয়েছে। গত দেড় মাস আগেও বলেছি, মার্চের পর থেকে হাজারীবাগে কোনো কাঁচা চামড়া ঢুকবে না। এতে ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেনি। যুগ যুগ ধরে যে সব ব্যবসায়ী মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এখন পঁচে গেলেও হাজারিবাগে কোনো চামড়া ঢুকবে না। যে কোনো মূল্যে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারে সরিয়ে নিতে হবে।
চামড়া শিল্প নগরিতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না মর্মে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু কাদের সংযোগ দেয়া হবে? কেউ তো আবেদনই করে নি। যারা আবেদন করবেন, তাদের এখনই গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
ট্যানারি স্থানান্তর বিষয়ে গত দুই দিনে কয়েকটি পত্রিকার সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এত দিন ট্যানারি স্থানান্তর না হওয়ায়, পত্রিকাগুলো সরকারকে দায়ি করে সংবাদ ছাপিয়েছে। এখন হাজারিবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকতে না দেয়ায় চামড়া স্তূপের ছবি ছাপিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য মায়াকান্না করছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা যখন লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তখন কিছু মিডিয়া চামড়া ব্যবসায়ীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া বিভ্রান্তিকর ও দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ট্যানারিসমুহ সাভারে স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিকট সাত দিন সময় বৃদ্ধির সুপারিশ করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ছাকায়েতুল বারী প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমাদের প্রধান রপ্তানি খাতের অন্যতম একটি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করণে ১২০ থেকে ১৮০ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োজন হয়। যে কারণে দূষণের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ট্যানারীসমূহকে একটি পরিবেশসম্মত স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সাভার ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার কান্দিবৈলারপুর, চরনারায়নপুর ও চন্দ্রনারায়নপুর মৌজা এলাকায় ২০০ একর জমির উপর বিসিক বাস্তবায়ন করছে চামড়া শিল্পনগরী। প্রকল্পে অবকাঠামোগত সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্যানারি মালিকরা ট্যানারিসমূহ সাভারে স্থানান্তর করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সরবরাহের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধণাগার (সিইটিপি), সুইজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি), স্লাজ পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম (এসপিজিএস) এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এসডব্লিউএমএস) নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তাই চামড়া শিল্পের মালিকগণকে ৩১ মার্চ ২০১৬-এর মধ্যে ট্যানারিসমূহ স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করা না হলে হাজারীবাগে ট্যানারিসমূহে কাঁচা চামড়া ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়। ট্যানারিসমূহ স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করা না হলে সিইটিপির কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। কারখানা স্থানান্তরে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এমনকি তাদের কারখানা স্থানান্তরের জন্য ট্যানারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান বাবদ অনুমোদিত ২৫০ কেটি টাকার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। বাকি টাকা শর্তপূরণ সাপেক্ষে নীতিমালার আলোকে পরিশোধ করা হবে বলে বিসিক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিসিক চেয়ারম্যান হজরত আলী জানান, এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় যে খবর প্রচারিত হচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে শিল্প স্থাপনের জন্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল। বিসিক এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় যে, ট্যানারিসমূহ বিসিক চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তরের পর তা চালু করার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দরকার অবশ্যই বিসিক তা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে ট্যানারিসমূহ বিসিক চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তরের যদি প্রয়োজন হয় বিসিক এরজন্য ৭ দিন সময় বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে বলে বিসিক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।