পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পাওয়ার পর কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ। সোমবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. শাহ আলম তালুকদার বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক গতকাল কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। এ সময় তাঁরা কিছু ব্যবস্থাও দিয়েছেন। আর কিছু বিষয়ে পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেডিকেল বোর্ডের বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। তবে খালেদা জিয়া কী রোগে ভুগছেন, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি ঢামেক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এটি রোগীর একান্ত বিষয়। তা জানানো ঠিক নয়।
গতকাল ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দীন জানিয়েছিলেন, মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শ লিখিতভাবে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হবে।
যদিও আজকের সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপপরিচালক জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে আছেন। তাই তিনি এখানে আসতে না পারার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ঢাকা মেডিকেলের চারজন চিকিৎসক। তাঁরা হলেন অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক শামসুজ্জামান, নিউরোলজি বিভাগের মনসুর হাবীব, মেডিসিন বিভাগের টিটু মিয়া ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সোহেলী রহমান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ২৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ঠিক ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাঁকে আদালতে হাজির করা যাবে না। এর পরই বিষয়টি সবার আলোচনায় আসে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।
একই রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় এবং আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।