Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অগ্রগতির খবর নেই কাটছে না ধোঁয়াশা

সিআইডি কার্যালয়ে তনুর পরিবার

প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : ধোঁয়াশা কাটছে না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকা- নিয়ে। গলদঘর্ম হয়ে পড়ছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রহস্যে ঘেরা হত্যার ঘটনার কুলকিনারা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধারের স্থান আর হত্যার স্থান এক নয় এবিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত ছিল তনু হত্যা মামলার আগের দুইটি তদন্ত সংস্থা। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা সিআইডি দ্বিতীয় দফার ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যার কারণ, হত্যার সময় নির্ধারণসহ খুঁটিনাটি অন্যান্য বিষয়ে মামলাটি নিয়ে অগ্রগতি হচ্ছে এমনটি বলতে পারছেন না। গতকাল শনিবারও সিআইডির তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তনুর বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সেনানিবাসের বাসা থেকে সিআইডির কুমিল্লা কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
সোহাগী জাহান তনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, তার বাবা-মা, ভাই ও চাচাতো বোনের মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরেও এগুচ্ছে সিআইডির তদন্ত দল। তনু হত্যাকা- নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সিআইডির তদন্ত দল। তাদের সাখে যুক্ত হয়েছেন ঢাকা থেকে আগত সিআইডি’র ক্রাইম সিনের কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবারও সিআইডির তদন্ত দল সেনানিবাসে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তনু হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত তদন্ত দলের প্রধান ঢাকা (মেট্রো দক্ষিণ) বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সিআইডির তদন্ত দল সেনানিবাস এলাকায় অবস্থান করে তনুর লাশ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। তদন্ত দলে কুমিল্লা-নোয়াখালি অঞ্চলের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নামুল করীম খান, সহকারি পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ, সহকারি পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, পরিদর্শক খন্দকার গোলাম শাহনেওয়াজ ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ সিআইডির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তদন্ত দলের কর্মকর্তারা তনুর বাবা, মা, ভাইসহ পরিবারের লোকদের জ্ঞিাসাবাদ করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে হত্যা মামলাটির অগ্রগতির লক্ষ্যেই তনুর মা, বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের একাধিকবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। সিআইডি এ পর্যন্ত প্রায় তিনবার তনুর মা, বাবা, ভাইকে সেনানিবাসের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসায় জিজ্ঞাসা করেছে। গতকাল শনিবার সেনানিবাসের বাসায় গিয়ে তনুর পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলার পর দুপুর ২টার দিকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, বড় ভাই নাজমুল হোসেন, ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন, চাচাতো বোন লাইজু জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনানিবাসের বাসা থেকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ‘তথ্য উপাত্তের প্রয়োজনে তনুর বাবা, মা, ভাইসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলবো। আমরা কাজ করছি, এখনো হত্যা মামলাটির অগ্রগতি বা অন্য কোনকিছু নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’ কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করীম খান জানিয়েছেন সিআইডির তদন্ত দল সব্বোর্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তনু হত্যার রহস্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবীর বিন আনোয়ার শুক্রবার কুমিল্লায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তনু হত্যাকা- বিষয়ে বলেছেন এ হত্যাকা- মর্মান্তিক। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খুব দ্রুত সময়ে কলেজ ছাত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে।
কুমিল্লা সেনানিবাসের আবাসিক এলাকার যেখানটায় তনুর পরিবারের বসবাস রয়েছে সেখানটা সংরক্ষিত এলাকা। ইচ্ছে করলেই সাধারণের পক্ষে সেখানে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। তবে গেইট পাস থাকতে হবে। তনু যেখানে দুইটি টিউশনি করতো সেই দুই বাসার দুরত্ব তার বাসা থেকে বড়জোর সাড়ে ৮শ’ গজ হবে। আর এ দূরত্বের মাঝামাঝি জায়গাতেই রয়েছে একটি কালভার্ট। যেখান থেকে কাছাকাছি দূরত্বের কিছুটা উঁচু জঙ্গলে মিলেছে তনুর লাশ। হত্যার ১৩দিন ধরে এ ঘটনা ঘিরে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। কিন্তু সঠিক উত্তর মিলছে না। যেখানে লাশ মিলেছে সেখানে কী তনু হত্যা করা হয়েছে ? নাকি সেনানিবাসের আবাসিক এলাকার কোনস্থানে তাকে হত্যা করে লাশ ওই উঁচু স্থানের জঙ্গলে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রশ্ন উঠেছে, অন্য কোথাও হত্যা করে তনুর লাশ তাদের কোয়ার্টারের প্রায় দুইশ গজের মধ্যে কেন রেখে যাবে। আর যদিও বা রেখে যাবে তাহলে যেটুকু পথ বেয়ে তনুর লাশ বহন করে ওই জঙ্গল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই সময়ে সেনানিবাসের ওই এলাকাতে কী নিরাপত্তা কর্মী ছিল না ? আবার তনুদের কোয়ার্টারের দুইশ’ গজের মধ্যে ওই জঙ্গলেই বা কেনো খুনিরা তনুকে হত্যা করবে। যেখান থেকে চিৎকার দিলে আওয়াজ তনুর ঘর পর্যন্ত পৌঁছে। এসব প্রশ্ন ঘিরে সঠিক জবাব ১৩দিনেও বেরিয়ে না আসায় তনু হত্যাকা- নিয়ে যেনো ধোঁয়াশা কাটছে না।
এদিকে গতকাল শনিবার সকালে কুমিল্লা মডার্ণ হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা তনুর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবীতে মানববন্ধন করে। বিকেলে নগরীর পূবালী চত্বরে ভিক্টোরিয়াসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও নাগরিক সমাজের লোকজন বিক্ষোভ সমাবেশ করে। আন্দোলনকারী বলেন, তনু হত্যা মামলা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেয়া নিয়ে চলছে টালবাহানা। তনুর মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র বলছে তার অবস্থান সেনানিবাসের ওই এলাকাতেই ছিল। তাহলে ঘটনার সময় ও পরে সেখানে কী নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ ছিল না। সন্ধ্যার পর থেকে জায়গাটি কী অন্ধকারে ছিল। এসব বিষয়গুলো সামনে রেখে তদন্ত করলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসতো। কিন্তু দিন যতো যাচ্ছে ততোই তনু হত্যা মামলা অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষ তনু হত্যার প্রকৃত রহস্য জানতে চায়। খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় দেখতে চায়। কোন জজ মিয়া নাটক দেখতে চায় না। চায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার।
সিলেটে দু’টি মানববন্ধন
সিলেট অফিস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সিলেটে দু’টি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন পৃথকভাবে মানববন্ধন দু’টির আয়োজন করে।
গতকল (শনিবার) দুপুরে সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্টে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে ফাউন্ডেশনের মহানগর শাখার সভাপতি রেহানা ফারুক শিরিনের সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সভাপতি শামীমা স্বাধীনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা মারিয়ান চৌধুরী মাম্মি, সাবেক কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিন, সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পুতুল প্রমুখ।
পরে একই স্থানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কমিশনের সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও সিলেট জেলা সভাপতি ড. আর কে ধর, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম।
গলাচিপায় মানববন্ধন
গলাচিপা (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা
গতকাল মেধাবী ছাত্রী তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার এবং শাস্তির দাবিতে গলাচিপা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, গলাচিপা স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমিতি ও আলোর সন্ধানে নামে ৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফোরকান কবির, প্রেস ক্লাব সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয়, গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামউদ্দিন প্রমুখ।

‘সাদা পোশাকধারীরা ধরে নিয়ে গেছে’
তনুর ভাইয়ের বন্ধু সোহাগের ৬ দিন হদিস নেই
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার সাতদিনের মাথায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী লোকজন কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকা নাজিরাবাজারের নারায়নশাহ গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলামের ছেলে সোহাগকে বাড়ি থেকে গভীর রাতে ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সোহাগের কোন হদিস পাচ্ছে না তার পরিবার। ধরে নিয়ে যাওয়া যুবক সোহাগ নিহত তনুর ভাই আনোয়ারের বন্ধু। গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সোহাগের পরিবারের দাবী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী লোকজনই তাকে ধরে নিয়ে গেছে।
তনু হত্যা হওয়ার সাতদিনের মাথায় তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনের বন্ধু মিজানুর রহমান সোহাগ নামে এক যুবককে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোষাকধারি লোকজন ধরে নিয়ে যাওয়ার ছয়দিন পার হলেও তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে সোহাগের বাবা নুরুল ইসলাম ও মা সাহিদা আক্তার। তারা অভিযোগ করেন গত ২৭ মার্চ রাত ১টায় সাদা পোষাকের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয়ে ৮/৯ জন তাদের ঘরে প্রবেশ করে। কুমিল্লা সেনানিবাসের পশ্চিম পার্শ্বের বাইরের এলাকা নাজিরাবাজার সংলগ্ন বাড়িতে সাদা পোশাকধারি লোকজন প্রবেশ করে সবার নাম জিজ্ঞেস করে এবং সবার মোবাইল ফোন থেকে সিম খুলে নেয়। একপর্যায়ে তারা সোহাগকে তার মোবাইল ফোনসহ ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। সোহাগকে নিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে সাদা পোশাকধারী একজন জানায়, তাকে দরকার আছে এজন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকালে বাসায় ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু পরদিন ফেরত না আসায় পরিবারের লোকজন থানা, ডিবি, র‌্যাব কার্যালয়ে গিয়েও সোহাগের কোন হদিস পায়নি। এঘটনায় সোহাগের বাবা গত ৩০ মার্চ বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগের বড় বোন খালেদা আক্তার বলেন, ‘২৭ মার্চ বিকেলে টেলিভিশন চ্যানেলে তনু হত্যার সংবাদে এক ছেলেকে কথা বলতে দেখে সোহাগ আমাকে বলে আপা এটাতো আনোয়ার। আমার বন্ধু। তনু কি আনোয়ারের বোন। কয়েকদিন আগে আমি তো হত্যার প্রতিবাদে নাজিরাবাজারে মানবন্ধনে যোগ দিয়েছি। তখন আমি আমার ভাইকে বলি তুই তোর বন্ধুকে ফোন করে জানতো। তখন সে তার ওই বন্ধু আনোয়ারকে আমাদের সামনেই ফোন করে। কিন্তু ফোন বন্ধ পায়। কয়েকবারই চেষ্টা করে দেখে ফোন বন্ধ। আর ওই রাতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকজন আমার ভাইকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের ধারণা, হয়তো তাকে তনুর ভাইয়ের ফোনের কললিষ্টের সূত্র ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাই বলে ছয়দিন তার কোন সন্ধান নেই। পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব কেউই ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করছে না। আমার ভাই গত বছর এইচএসসি পাশের পর আর্থিক অনটনের কারণে পড়ালেখা বন্ধ করে বাবার সাথে কৃষিকাজে সময় দেয়। সে কখনো কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না। আর আমার ভাই যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। কেন ৬/৭দিন ধরে গুম করে রাখা হয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্রগতির খবর নেই কাটছে না ধোঁয়াশা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ