পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ (৬৮) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এমএ আজিজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। দুপুর একটা ১০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এমএ আজিজ স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে উমর বিন আব্দুল আজিজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতার মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শোক জানিয়েছেন। গতকাল বাদ মাগরিব বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মরহুমের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে গত আট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আজিজ। ২০০৩ সালে সম্মেলনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগরের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই কমিটিতে সহসভাপতি হন আজিজ। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হানিফ ২০০৭ সালে মারা যাওয়ার পর আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। তারপর থেকে তিনি এই দায়িত্বেই ছিলেন। ২০১২ সালে কাউন্সিল হলেও নতুন কমিটি গঠিত না হওয়ায় আজিজ আগের মতোই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
পরিবারের পাশে প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের লাশ দেখতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার কিছু পরে পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় এম এ আজিজের বাড়িতে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি বলেন, সেখানে মরদেহ দেখে এম এ আজিজের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতার দোয়া কামনায় মোনাজাতে অংশ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত এম এ আজিজের বিভিন্ন স্মৃতিচারণা করে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। কয়েকজন মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জানিয়ে উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে ছিলেন। এর আগে শনিবার দুপুরে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এম এ আজিজ।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিভাবে পাঠানো শোক বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এম এ আজিজের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিনের ‘পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ' এক নেতাকে হারালো। পঁচাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা- পরবর্তী দুঃসময়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করতে এম এ আজিজের ভূমিকা অপরিসীম ছিল মন্তব্য করে এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মরহুমের সাহসী ভূমিকার কথা জাতি চিরকাল গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের মৃত্যুতে সংসদ সদস্য হাজী মোঃ সেলিম শোক জ্ঞাপন করেছেন। তিনি মরহুমের নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।পরিশেষে তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।