পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ উন্নয়নশীল নাকি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে অনেকের মধ্যে। এমনকি শিক্ষিত সমাজেও রয়েছে এ নিয়ে বিভ্রান্ত। কিন্তু স্পষ্টভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে তিন বছর আগেই। অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১ জুলাই এ ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। আর চলতি মার্চ মাসে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পৌঁছানোর প্রাথমিক যোগ্যতা।
বাংলাদেশ যে নিম্ন আয় থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছে তা শতভাগ নিশ্চিত হলেও এখনও যে উন্নয়নশীল দেশ হয়ে যায়নি তাও নিশ্চিত। কারণ ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ’- এ ঘোষণা আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। আর এ ঘোষণাটি দেবে জাতিসংঘ।
জাতসিংঘের এ ঘোষণার পর তার পরের তিন বছর, অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল নাকি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ, তা নিয়ে ধোয়াশায় রয়েছেন মন্ত্রী-আমলারাও। মন্ত্রীরা প্রায়ই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ বলে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু ভেঙ্গে বলছেন না, তা নিম্ন-মধ্যম নাকি উচ্চ-মধ্যম আয়ের।
এছাড়া ১৯৮০ বা ৯০ এর দশকেই স্কুল-কলেজে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলা হতো। তাই এখন নতুন করে প্রশ্নও উঠেছে, সেটা কি তাহলে ভুল ছিল? আসলে তখন আমরা জাতিসংঘের হিসাবে এলডিসি এবং বিশ্বব্যাংকের হিসাবে নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম। কিন্তু একটু আগ বাড়িয়ে তখন কেউ কেউ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলে ফেলতেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, কেউ কেউ ব্যাপারটাকে গুলিয়ে ফেলছেন। তবে অনেকেই আবার ইচ্ছে করেও বাড়িয়ে বলছেন। বাস্তবে বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের এলডিসি। এবং আরও ছয় বছর তা-ই থাকবে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ দিলে, তখন বাংলাদেশ হবে নিম্ন-মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।