পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের (ইউপি) অনিয়ম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যর্থতায় এবার মুখ খুললেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি শ্লেষমাখানো সুরে বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর নির্বাচন কমিশন। কমিশন ইচ্ছা করলে নির্বাচন বাতিলও করতে পারে, ইচ্ছা করলে নির্বাচন গ্রহণও করতে পারে। যে কারও চাকরি খেতে পারে। কিন্তু এ কেমন কমিশন, লড়েও না, চড়েও না। আগায়ও না পিছায়ও না। একটা কিছু ক, গোলাপি, একটা কিছু ক। আপনাদের তো কিছু বলতে হবে।
গতকাল রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি ইসির উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতকালও (বৃহস্পতিবার) নয়জন মারা গেল। এখানে তুমি-আমি চক্ষু বুজে রাখতে পারি না। যখন এর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদেরও আত্মাহুতি দিতে হচ্ছে, এদের তো রক্ষা আমাদের নির্বাচন কমিশন করতে পারে না। এই রকম নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিয়ে তো আমরা আসি নাই।
নির্বাচনী সহিংসতার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত বলেন, এতগুলো মানুষ মারা গেল! তাও যদি এটা থাকত যে বিচার হয়। বিচার করেন না, বিচার করার জায়গায় কথা বলেন না। বলার সাহস রাখেন না। ইনিয়ে-বিনিয়ে অন্যভাবে বলার চেষ্টা করেন যে, এটা করায় ঠিক হইছে। অতীতে আপনাদের অর্জন নিয়ে যা কিছু বলতে চাইছেন, সব অর্জনেই আমরা ছিলাম; আপনিও ছিলেন। বর্তমানের খারাপ কাজের সঙ্গেও তো আপনি আছেন। এটাকে ঢাকার জন্য কোন রাজনীতি করা যাবে না। এ কথাটাও আমাদের বলতে হয়। এই হাইব্রিড যারা বইসা থাকেন, আমি তো দেখি। এইগুলা কমাতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের পর আওয়ামী লীগের এ নেতা কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক সময়ে সংলাপে বসার আহ্বানের বিষয়ে। তিনি খালেদার এ সংলাপের সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া প্রশ্ন তুলেছেন যে বল এখন শেখ হাসিনার কোর্টে। বল নাকি আমাদের কোর্টে। কোন বল? আপনি তো খেলোয়াড় বড়। কত জায়গায় খেলেন। নওয়াজ শরীফের কথায় কখনও খেলেন। কখনও ক্রিকেট, কখনও হকি, কখনও ভলিবল, কখনও ফুটবল। কোনটা? এখন তো ইউনিয়ন পরষিদ নির্বাচন চলছে। তাহলে আপনি কোনটা খেলবেন?
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আপনার ফুটবলটা হারিয়েছিলেন কোথায়? আর পাইছিলেন কোথায়? ফুটবল পাইছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যা করার মাধ্যমে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করে। ওই ফুটবল যদি খোঁজেন, তাহলে আপনি আর পাবেন না। এটা বলতে পারি, ওই ফুটবল আপনি ইহজীবনেও পাবেন না, পাবেন না, পাবেন না। ওটা যে চলে গেছে, হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে। ওটা তো আপনি বুঝতেই পারতেছেন।
তিনি বলেন, আর যদি ওই ফুটবল বলতে আপনি নির্বাচন চান, নির্বাচন তো হতেই পারে। আমরা তো নির্বাচনে অবিশ্বাসী না। আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এই নেতা বলেন, ওই নির্বাচনে আপনি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন। আপনাকে বাদ দেয়া হবে না। তবে একটা কথাই বলে দেই, আপনি যে ভুলটি একবার করেছেন নওয়াজ শরীফের কথায়, আইএসআই’র কথায়, তা আর করবেন না।
আদালত অবমাননার দায়ে দুই মন্ত্রীর সাজার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে প্রবীণ রাজনীতিক সুরঞ্জিত বলেন, দুই মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন আর উনি বলেছেন দেখাইবেন। উনি দেখাইও দিছেন। দুই মন্ত্রী বলছে মাফ চাই। মাফ করে দাও। আপনি প্রধান বিচারপতি, আপনার তাদেরকে মাফ করে দেয়া উচিত ছিল। তা না করে আপনি দেখাইয়া দিছেন। এতে ক্ষতিটা কার হল?
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।