পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আফজাল বারী : সংগঠনকে নবরূপে সাজাচ্ছে বিএনপি। শেষ করতে চায় এ মাসেই। তারুণ্যনির্ভর কমিটি উপহার দিতে নির্ঘুম কাজ করছেন দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। নাটকীয় কোনো অঘটনের মুখোমুখি না হতে হলে পুরো কমিটি ঘোষণা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দিন ত্রিশের মধ্যেই। ইতোমধ্যে তার দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মনোনীত করেছেন।
সূত্রমতে, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন হচ্ছেই। ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সংশোধন করে আরও বেশি সংখ্যক নেতাদের নেতৃত্বে আনতে ‘এক ব্যক্তি একপদ’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। এর ফলে নতুন কমিটিতে পাঁচশতাধিক নতুন মুখ দেখা যাবে।
দলের নতুন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইনকিলাবকে জানান, এক ব্যক্তি এক পদÑআমি এটা শুরু করব। ইতোমধ্যে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং কৃষক দলেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকে কাজ শুরু হয়েছে। অপেক্ষা করুন দু-এক দিনের মধ্যে জানতে পারবেন।
অন্যদের পছন্দের পদ সম্পর্কে জানাতে একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশনাও দেবেন শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
এদিকে নিজের কাক্সিক্ষত পদ নিশ্চিত করতে পথের কাঁটা সরানোর নানামুখী পথে হাঁটছেন নেতারা। প্রতিদ্বন্দ্বীর দুর্বল বা নেতিবাচক দিক প্রচারে নেমেছেন কিছু নেতা। এ পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। তাতে আপলোড করছেন সভা-সমাবেশ, ছবি, মন্তব্য, ১/১১ সময়ের অবস্থান। এমনকি শাসক দলের নেতা বা স্বজনদের সাথে বিএনপি নেতার বিশেষ সময়ের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেতাদের অনেকেই একাধিক পদ এমনকি কেউ কেউ ছয় থেকে চারটি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা অনেক নেতাই আছেন যারা স্থানীয় পর্যায়ের পদটি ছাড়তে চান না। কারণ স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতি এক নেতাকে কেন্দ্র করেই দীর্ঘদিন চলে আসছে। এখন পদ ছাড়লে নতুন নেতারা স্থানীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবে। তাতে দীর্ঘদিনের আঁকড়ে থাকা স্থানীয় নেতৃত্ব হতাছাড়া হবে কেন্দ্রীয় নেতার। এই বিষয়টি অনেকে মানতে পারছেন না।
বিএনপির দফতর সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির অনেক নেতাই আছেন যারা একাধিক পদের অধিকারী। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দল ও আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা মহানগর বিএনপিরও অন্যতম সদস্য। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী জেলা কমিটিরও সভাপতি। দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি। আব্দুুল আউয়াল মিন্টু ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও।
চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু একই সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি। আহমেদ আজম খান টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি। এমএ মান্নান ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি। অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি পদে রয়েছেন। এছাড়াও আরো ৩০ জন উপদেষ্টা তারা একাধিক পদে আসীন।
নবনিযুক্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একই সঙ্গে দলের দফতর সম্পাদক। যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপিরও সদস্য। মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি। মোহাম্মদ শাজাহান নোয়াখালী জেলা সভাপতি। বরকত উল্লাহ বুলু ঢাকা মহানগর বিএনপিরও সদস্য। ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি। বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশাল মহানগর সভাপতি। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি। রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাট জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সম্পাদক ও সহ-সম্পাদকরা স্থানীয় বিভিন্ন পদে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে থাকা নেতাদের মধ্যে বিশেষ সম্পাদক নাদিম মোস্তফা রাজশাহী জেলা সভাপতি। প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সভাপতি। যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুবদলের সভাপতি। তিনি একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপিরও সদস্য। স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোর জেলা সভাপতি। শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী জেলা সভাপতি। স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব। একই সঙ্গে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলেরও সভাপতি। ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী আহমেদ রুমী কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি। স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি। শিল্প বিষয়ক সম্পাদক একেএম মোশাররফ হোসেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা সভাপতি। সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি। তিনি একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপিরও সদস্য। মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ঢাকা মহানগর বিএনপিরও সদস্য। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুুস সালাম আজাদ যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনা মহানগর সভাপতি। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক। সহ-শিল্পবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া ফরিদপুর জেলা সভাপতি। সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোজাহার আলী প্রধান জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি। সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি। সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ ঢাকা মহানগর বিএনপিরও সদস্য। সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আমিন উর রশীদ ইয়াসিন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এমএ মালেক জাসাসের সভাপতি। সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা মহিলা দলের সভানেত্রী। সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা। সহ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবু সাঈদ খান খোকন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
একাধিক পদ থেকে পিছিয়ে নেই নির্বাহী কমিটির সদস্যরাও। নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম বগুড়া জেলা সভাপতি, আফরোজা আক্তার খান রিতা মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি, শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সিলেট মহানগর আহ্বায়ক, এম নাছের রহমান মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি, জিকে গউছ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, আনোয়ার হোসাইন শ্রমিক দলের সভাপতি, শফিকুর রহমান কিরণ শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি, আশিফা আশরাফি পাপিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ মোদারেছ আলী ইসা ফরিদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক, রাবেয়া সিরাজ মহিলা দলের সহসভাপতি, ওয়ারেছ আলী মামুন জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মইনুল ইসলাম শান্ত মানিকগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ুন কবির খান তাঁতী দলের সভাপতি, কাজী আবুল বাশার ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, এমএ কাইয়ুম ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, এসএ খালেক ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য, রফিকুল ইসলাম মাহতাব মৎস্যজীবী দলের সভাপতি, মীর সরফত আলী সপু স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, মনির খান জাসাস সাধারণ সম্পাদক, শফিউল বারী বাবু স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইয়াসমীন আরা হক মহিলা দলের সহ-সভাপতি, গাজী নুরুজ্জামান বাবুল পিরোজপুর জেলা সভাপতি, আলমগীর হোসেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বরিশাল উত্তর জেলা সভাপতি, আকন কুদ্দুসুর রহমান বরিশাল উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক, রেহেনা আক্তার রানু ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, তকদির হোসেন মো. জসিম কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোস্তফা খান সফরী চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এসব নেতা পছন্দের পদ রেখে বাকিগুলো ছাড়লে অন্তত পাচশ পদ শূন্য হবে। তাতে দলের পরীক্ষিত নেতাদের স্থান হবে বলে নীতিনির্ধারকরা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।