পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী পহেলা বৈশাখে ‘ভুভুজেলা’ নিষিদ্ধের দাবি তুললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গতকাল শুক্রবার সকালে প্রতিমন্ত্রী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘পহেলা বৈশাখে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ চাই’ দাবি সম্বলিত একটি ব্যানার পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন ‘দেশীয় বাঁশীর মোহনীয়তা যেন ঢাকা না পড়ে যায়’।
কয়েকদিন পরেই বাংলা নববর্ষের মহোৎসবে মাতবে বাঙালি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হবে আনন্দের বন্যায়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বাঙালির নিজস্ব ঐতিহ্যের এই উৎসবে প্রবেশ করেছে বহিরাগত সংস্কৃতি। বিশেষ করে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা কর্কশ বাঁশি ভুভুজেলা বৈশাখের উৎসবে যন্ত্রণা হয়ে আসে, যেটি ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি আলোচিত উৎপাতের নাম ছিল।
মাত্র অর্ধযুগ আগেও বর্ষবরণে আমাদের অপরিহার্য অনুষঙ্গ ছিল বাঁশের বাঁশি, মোহনবাঁশি, একতারা, দোতারা, বেহালা। এই বাদ্যযন্ত্রগুলো বাজানো কঠিন, তবে বাজানো জানলে এদেরকে দিয়ে তৈরি করা যায় সুরের ঝর্নাধারা। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু মানুষ কষ্ট করতে নারাজ, তাই তারা বাঁশের বাঁশি বাজাবার আয়াসটুকু স্বীকার করতে অনিচ্ছুক।
কিন্তু তারা কখনো ভাবে না ছোট্ট একটা এলাকায় একসঙ্গে লাখ খানেক ভুভুজেলা বেজে উঠলে কী নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা গত অর্ধযুগে পহেলা বৈশাখগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়গামীরা দেখেছেন। এ এমনই এক যন্ত্র, যার বীভৎস অত্যাচারে এক ফুট দূরের কারো কথা শোনা যায় না।
আফ্রিকা মহাদেশের এই বিকট বাদ্যযন্ত্রটির যন্ত্রণার ঝালাপালায় আনন্দ উপভোগের পথে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আসন্ন নববর্ষে ভুভুজেলা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এখন থেকে সোচ্চার হয়েছেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ইভেন্টও খোলা হয় কিছুদিন আগে। সবশেষে প্রতিমন্ত্রীও এই বিকট বাদ্যযন্ত্রটি নিষিদ্ধের দাবি জানালেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।