পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব পণ্যের মূল্য ঊধ্বমুখী। টানা তিন সপ্তাহ বেড়ে চলেছে ডালের দাম। বাজারভেদে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি ও গরুর গোশত। শুক্রবার রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা এমন তথ্য জানান।
বিক্রেতারা জানান, আমদানি কমে যাওয়ায় ডাল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে কেজিতে ডাল ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এ সপ্তাহে আগের বাড়তি দামের সঙ্গে কেজিতে যোগ হয়েছে আরও ১০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুরের ডাল ১৬০ টাকা, আমদানি মসুরের ডাল ১৩০ টাকা এবং ক্যাঙ্গারু জাতের মসুরের ডাল ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, ছোলার ডাল ১০০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ডাল ছাড়াও বাজারে লুজ পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা। শুক্রবার প্রতি লিটার ৫৮ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।
এদিকে শীতের সবজি বাজারে কমে আসায় কোনো কোনো সবজিতে গত সপ্তাহের বাড়তি দামের সঙ্গে প্রতি কেজি ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
বাজারে মান ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পটল কেজিতে ৫ টাকা কমে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি ফালি মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং চাল কুমড়া ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া পাকা টমেটো ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, রেখা ৪০ টাকা, জিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারে আলু ২০ টাকা, দেশি আদা ৯০ টাকা ও মোটা চায়না আদা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, আমদানি করা মোটা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৮ টাকা, দেশি রসুন ৭০ টাকা ও আমদানি করা মোটা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
গোসতের বাজার উর্দ্ধমূখী। কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ফার্মের মুরগির। ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার। প্রতিকেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি পিস ২শ’ টাকা এবং কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস। কিন্তু কেজি প্রতি গরুর গোসতের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এ সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা। তবে খাসির মাংস পূর্বের দামে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডিমের দাম। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজন প্রতি প্রায় ৯ টাকা করে বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে হালি প্রতি ৩২ টাকা করে ডিম বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। তবে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি পর্যায়ে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের মধ্যে প্রতিটি ৫ লিটারের রূপচাঁদা ৪৫৫ থেকে ৪৫৮ টাকায় এবং তীর ৪৪০ থেকে ৪৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০-৩৪০ টাকা, কাতল ২৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৭০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৫০-৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা, জাটকা ইলিশ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, চায়না পুঁটি ১৩০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চাষের কৈ ২৬০ টাকা, শিং মাছ ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইলিশ প্রতি হালি ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।