পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আমিরুল মুজাহিদীন আলহাজ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সমাজে চলমান অশান্তি দূর করতে মানুষ বিভিন্ন ব্যক্তি মতবাদ গ্রহণ করছেন। কিন্তু এতে সমাজের অশান্তি না কমে বরং বেড়েই চলেছে। আসলে আল্লাহপ্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলামকে úূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ না করলে সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
দাওয়াতুন্নবী (স.) উপলক্ষে ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিন গতকাল প্রধান অতিথির বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন। দাওয়াতুন্নবী (স.) মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তাফসির মাহফিলে আরও বয়ান পেশ করেন, চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীশপুর, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, জামি‘আ কারীমিয়া আরাবিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি মুহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, জামি‘আ তা‘লিমিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিক (কুয়াকাটা), তিলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমদ বিন ইউসুফ আল-আযহারী।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জনতার দৃষ্টি ছিল সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। রাজধানীর সকল এলাকা থেকে আছর নামাজের আগেই হাজারো উৎসুক ইসলামপ্রিয় জনতা মাহফিলস্থলে পৌঁছতে থাকে। গতরাত ৯.৩০ মিনিটে যখন পীর সাহেব চরমোনাই মঞ্চে উঠেন তখন সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল মানুষে ভরপুর।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কোনো মানুষ যদি পরিপূর্ণ ইসলামী জীবনাচার মেনে চলে, সে পরিণত হয় একজন আদর্শ মানুষে। তাই তিনি সকলকে দেশ ও জাতির স্বার্থে ইসলামের সুমহান আদর্শের ছায়াতলে সমবেত হবার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র যদি ইসলামী নীতিতে প্রবেশ করে তবে সে রাষ্ট্র হবে বিশ্বের মডেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।