Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ’লীগের জনসভা : গণপরিবহন সঙ্কটে দক্ষিণ চট্টগ্রাম কক্সবাজার বান্দরবানে মানুষের চরম দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বন্দরনগরী পেরিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জনসভা গতকাল (বুধবার) জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি বিভাগীয় পর্যায়ে দলের পক্ষ থেকে বড়সড় শোডাউন। দুপুরে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সকাল থেকেই গণপরিবহনে ছিল কার্যত অচলাবস্থা। জনসভাকে কেন্দ্র করে সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানে গণপরিবহন সঙ্কটে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যদিনের অগণিত কর্মমুখী মানুষ। চৈত্রের কাঠফাটা রোদের মধ্যে জরুরি কাজেকর্মে অনেককেই পায়ে হেঁটে অবর্ণনীয় কষ্টে বিভিন্ন স্থানে যেতে দেখা গেছে। জনসভায় বেশি লোক সমাগমের জন্য আগেই অনেক বাস-মিনিবাস দলের নেতা-এমপি-কর্মীরা ভাড়া করে নেন। সড়ক-মহাসড়ক প্রায় গণপরিবহন শূণ্য হয়ে পড়ে।
তাছাড়া পটিয়া ও আশপাশের এলাকাগুলোতে জনসভা অভিমুখী মানুষের ভিড় এবং নিরাপত্তা কড়াকড়ির মাঝে যানবাহন চলাচল ছিল দুঃসাধ্য। সড়ক রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সকাল থেকেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকাসহ কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মিনিবাস, কোচ, হিউম্যান হলার, টেম্পুসহ কোনো ধরনের গণপরিবহন চলাচল করেনি। কিছু কিছু সিএনজি অটোরিকশা বের হলেও দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া আদায় করে। তাও আবার পথে পথে বাহন পাল্টিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে বেগ পান। জনসভা শেষে জনস্রোতে গণপরিবহন সঙ্কটের সাথে দক্ষিণের সড়ক-মহাসড়কে তীব্র যানজট সন্ধ্যা হয়ে এমনকি রাত অবধি অব্যাহত থাকে। এ অবস্থায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামমুখী এবং চট্টগ্রাম থেকে ওইসব গন্তব্যমুখী বিভিন্ন রুটের অগণিত যাত্রী আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সীমাহীন। তাছাড়া ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় মালামাল পরিবহনে অচলাবস্থা বিরাজ করে।
এদিকে বাঁশখালী ও চন্দনাইশ হয়ে বিকল্প রুটে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের যাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে বলা হলেও সেই রুটেও জনসভার যানবাহনে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাপ ছিল। ফলে গণপরিবহন চলাচল করে হাতেগোনা। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানান, বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরী থেকে লোকজন জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য আগেই বাস-মিনিবাস বিভিন্ন যানবাহন ভাড়া করে নেয়া হয়। এতে করে গণপরিবহন সঙ্কট হয় তীব্র। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি সূত্র জানায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সড়ক-মহাসড়কে কিছু যানবাহান চলাচল করে। তবে চাহিদার তুলনায় কম। দক্ষিণ-পূর্বের এসব রুটে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যাত্রীবাহী বাস-কোচ, মিনিবাসসহ গণপরিবহন চলাচল করে। গতকাল পটিয়ায় জনসভার জন্য অন্তত সাড়ে ৭শ’ বাস ভাড়ায় নেয়া হয়। অবশিষ্ট অনেক বাস-মিনিবাস ঝামেলা এড়াতে রাস্তায় বের হয়নি। যাত্রী সাধারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন পাননি। মহানগরীতেও এর প্রভাব পড়ে।
চট্টগ্রামে বিভাগীয় পর্যায়ের এ জনসভা মহানগরীর পলোগ্রাউন্ডে অথবা শহরের বিকল্প কোথাও অনুষ্ঠিত হবে এমনটি আশা করেছিলেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-এমপি। পলোগ্রাউন্ডে চলছে চিটাগাং চেম্বারের উদ্যোগে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। স্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকে নগরীতে বিকল্প জনসভার স্থান নির্ধারণের প্রস্তাব জোরালো ছিলনা। শেষমেশ দলের হাইকমান্ড পটিয়া হাইস্কুল মাঠে জনসভার আয়োজন করেন। তবে এ নিয়ে মহানগরীর নেতা-এমপিদের মাঝে হতাশা প্রকাশ পায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ’লীগ

১৪ আগস্ট, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ