পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শাহবাগের শিশুপার্ক থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ‘শহীদ জিয়া শিশু পার্ক’ এবং নতুন নাম হয়েছে শুধু ‘শিশু পার্ক’। কাগজে কলমে বেশ কিছু দিন আগেই নাম পরিবর্তন করা হলেও পার্কের নামফলকে থাকা শহীদ জিয়ার নাম এই সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রকল্প সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিশু পার্কের নাম আমরা পরিবর্তন করেছি। কাগজপত্রে শিশু পার্কের যে নাম ছিল তা এখন আর নেই। অনেকে হয়তো এটা জানেন না।’
নতুন কী নাম দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নতুন করে কোনো নাম রাখা হয়নি, এখন শুধু শিশু পার্ক।’ ‘শহীদ জিয়া শিশু পার্ক’ নাম ফলক এখনও রয়ে গেছে -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব আন্তরিকভাবে আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, পুরনো নাম ফলকটা এখনও রয়ে গেছে। আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে ইনশাআল্লাহ সরিয়ে দেব। এটা আমাদের দৃষ্টিতে ছিল না।’
শিশু পার্কের বর্তমান স্থানটিতে ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি ও মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তখন সাংবাদিক আতাউস সামাদ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যেখানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল সেখানে শিশু পার্ক করা হয়েছে কেন? পত্রিকার (বিচিত্রা) ভাষ্য অনুযায়ী জিয়াউর রহমান সাহেব জবাব দিয়েছিলেন, মুসলমানদের পরাজয়ের কোনো চিহ্ন রাখতে নেই। সে জন্য তিনি সেখানে শিশু পার্ক করেছেন।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি ঐতিহাসিক স্থানে শিশুপার্কটি। শিশুরা পার্কের সুবিধাও ভোগ করবে এবং দেশের ইতিহাসের কিছু উপাদানও যাতে দেখে যেতে পাওে সেই ব্যবস্থাও থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘অর্থাৎ তাদের (বিএনপি) এটা যাতে বুমেরাং হয়। তারা করেছিল ইতিহাসটা মুছে ফেলতে। আর আমরা ইতিহাস জাগ্রত করতে সেই পরিকল্পনা নিয়েই শিশু পার্কটিকে সংরক্ষণ করছি। শিশু পার্কটি নতুন আদলে হবে। আরও রাইড নিয়ে এটি আকর্ষণীয় হবে। শিশু পার্কটি আরও পূর্ব দিকে সরানো হবে।’
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব অপরূপ চৌধুরী, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।