পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সম্প্রতি বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও আমদানি ব্যয় বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। চলতি অর্থবছরে প্রথম সাত মাসেই (জুলাই-জানুয়ারি) এলসি খোলায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১২ শতাংশের মতো। এ সময় খাদ্যপণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও জ্বালানি তেলের এলসি খোলার হার উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের এলসি খোলার হার। যা প্রায় ২১৫ শতাংশ। এদিকে আমদানি ঋণপত্র বাড়ায় এ খাতে খরচও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ খাতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। কিন্তু রপ্তানি ও রেমিটেন্স সে অনুপাতে না বাড়ায় তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। শুধু তাই নয়, আমদানি ব্যয় মিটাতে গিয়ে কমে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পেমেন্ট দেওয়ার পর রিজার্ভের পরিমাণ কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এ সাত মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে চার হাজার ৫৬৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল দুই হাজার ৭৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ফলে এলসি খোলায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে দুই হাজার ৯৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল দুই হাজার ৬৫৫ কোটি ১১ লাখ ডলার। ফলে এলসি খোলায় নিষ্পত্তি বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময়ে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৭৭ কোটি ৯২ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৮৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।