পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন ব্যাংককের সেন্ট লুইস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুফতি মাওলানা বখতিয়ার উদ্দিন। গত ১৫ দিনে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। তিনি চোখ মেলে দেখছেন, পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন। ইশারায় কথা-বার্তা বলছেন। কারও সাহায্য ছাড়াই বসতে পারছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খুব শিগগির তিনি আরও সুস্থ হয়ে উঠবেন। ব্যাংককের হাসপাতালে থাকা মাওলানা বখতিয়ারের স্ত্রীর বরাত দিয়ে বড় ভাই জসিম উদ্দিন গতকাল (রোববার) ইনকিলাবকে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত, দেশবাসীর দোয়া ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় বখতিয়ারের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। মুখে ও শ্বাসনালিতে টিউব থাকায় তিনি কথা বলতে পারছেন না, তবে সবাইকে চিনতে পারছেন। এমনকি ছবি দেখে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও তিনি চিনছেন। কয়েকদিন পর টিউব সরিয়ে সরাসরি খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তার ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন আছে জানিয়ে চিকিৎসকেরা বলেছেন, তিনি আরও কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে চোখের চিকিৎসা শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন তা এখনও চিকিৎসকরা জানাননি। স্ত্রী আরিফা বিল্লাহ ছাড়াও হাসপাতালে তার পাশে আছেন শ্যালক মারুফ বিল্লাহ এবং গাউসিয়া কমিটির কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ব্যাংককে নেওয়া হয়। দেশের লাখো সুন্নি জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠ, এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার তাফসির বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোফাচ্ছির মুফতি বখতিয়ার উদ্দিন গত ২৮ জানুয়ারি কুমিল্লায় ওয়াজ মাহফিল শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে সীতাকুÐে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। প্রথমে চট্টগ্রামে পরে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এক মাসের বেশি সময় তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।