Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্লুকোমায় হারানো দৃষ্টি ফিরে আসে না

বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির আলোচনা সভার বিশেষজ্ঞরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

0 যথাসময়ে গøুকোমার চিকিৎসা জরুরী
# চল্লিশ বছরে উপরে শতকরা ৩ জন গøুকোমায় আক্রান্ত
চল্লিশ বছরে উপরে শতকরা ৩ জন গøুকোমা রোগে আক্রান্ত। সারা পৃথিবীতে অন্ধত্বের প্রধান দ্বিতীয় কারণ গøুকোমা। বিশ্বে অন্ধত্বের প্রথম কারণ ম্যাকুলার হলেও বাংলাদেশে অন্ধত্বের প্রথম কারণ ছানি এবং দ্বিতীয় গøুকোমা। ছানিতে চোখের দৃস্টি পূণরায় ফিরে আসে কিন্তু গøুকোমায় হারানো দৃষ্টিশক্তি আর ফিরে আসে না। ফলে যথাসময়ে গøুকোমার চিকিৎসা করা জরুরী।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব গøুকোমা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গøুকোমা সোসাইট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সোসাইটির আয়োজনে সকালে ধানমন্ডিস্থ হারুণ আই ফাউন্ডেশনে ফ্রি গøুকোমা স্ত্রিনিং করা হয়। পরে বাংরাদেশ আই হসপিটালের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, গøুকোমা সচেতনতা বিষয়ে আমাদের চিকিৎসক হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করা দরকার তার ১০ ভাগও আমরা পালন করছি না। ৩৫ বছরের বেশি বয়স হলেই রোগির গøুকোমা পরীক্ষা করাতে হবে, সেটা আমরা করি না। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, গøুকোমার আসল চিকিৎসা হচ্ছে জনগণকে বোঝানো এবং উদ্বুদ্ধ করা, যে ৩৫ বছর বয়সের পর আপনাদের চোখের প্রেসার চেক করান। তিনি গর্ব করে বলেন, গøকোমা থেকে শুরু করে ছানি চিকিৎসায় আমেরিকার টপ চিকিৎসকরা যা করতে পারেন, বাংলাদেশের এক ডজন চিকিৎসক তা করতে পারেন।
সভা প্রধানের বক্তব্যে বাংলাদেশ গøকোমা সোসাইটির সভাপতি ডা. জিয়াউল করীম সচেতনতার বিষয়ে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে চিকিৎসকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। অন্যটা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
পরিসংখ্যান বিষয়ে বলেন, গুøকোমা রোগির সংখ্যা ২ দশমিক ১ শতাংশ। গøুকোমা হতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা ৩ দশমিক ১ এবং গøুকোমায় অন্ধেত্বের সংখ্যা ১ দশমিক ২ শতাংশ। যা আমাদের দেশের জন্য বিরাট। তিনি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দেশের তৈরী গøুকোমার ওষুধই কোন কোন দেশে রফতানি হয় এবং তা কোন কোন ব্যান্ডের ওষুধ সেই দেশের একনম্বর ওষুধ।
অনুষ্ঠান আরো উপস্থিত ছিলেন, গøুকোমা সোসাইটির সাবেক চেয়ারপারসন প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. এম এ মান্নান, প্রফেসর ডা. আনিসুর রহমান আঞ্জুম। গøুকোমা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল ইসলাম খান, প্রফেসর হাসান শহীদসহ সোসাইটির অর্ধশত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও এরিষ্ট ভিষনের মি. ওয়াদুদ ও গøুকোমা রোগে আক্রান্ত একজন রোগি মো. শহীদ মোল্লা বক্তব্য রাখেন। ###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ