পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বীমা খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কার শুরু করেছে সরকার। সরকার মনে করে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের তদারকি ও নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এই নজরদারি কার্যকরিভাবে পালন এবং বীমা খাত তত্তাবধানে সক্ষমতা অর্জন ও সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য অধিকতর উপযোগী নীতি ও পদ্ধতি প্রবর্তন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে বীমা খাতের কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং প্রশিক্ষিত জনবল উন্নয়ন ও পেশাদারিত্ব বাড়িয়ে এ খাতে জনমানুষের আস্থা বাড়ানো প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। মোট ৬৩২ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। বাকি ৫১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সহায়তা বাবদ পাওয়া যাবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। প্রকল্পটি সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটি এ বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের সব উপজেলায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা করপোরেশনগুলো এ প্রকল্পের আওতায় আসবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রকল্পটি প্রথমে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড প্রাইভেট পেনশন মার্কেট ডেভেলেপমেন্ট প্রজেক্ট’ শিরোনামে প্রণয়ন করা হয়। ২০১৬ সালের ২২ প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি)-এর সভায় প্রকল্পটি টিপিপি’র পরিবর্তে ডিপিপি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটি যখন টিপিপি আকারে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়, তখন প্রকল্পটির মোট ৪টি কম্পোনেন্ট ছিল। এর প্রথমটি হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সামর্থ্য বৃদ্ধিকরণ ও বীমা একাডেমির আধুনিকায়ন। দ্বিতীয়ত-রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানো। তৃতীয়ত-বেসরকারি পেনশন তহবিল গঠন ও তহবিল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা পরিচালনা এবং চতুর্থত- প্রকল্পের কার্যকর ও সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটে উপযোগী কারিগরি পরিবেশ নির্মাণ করা।
পরবর্তীতে এ প্রকল্পের বিষয়ে অর্থ বিভাগের মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্পের ৩ নম্বর কম্পোনেন্ট অর্থাৎ ‘বেসরকারি পেনশন তহবিল গঠন ও তহবিল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা পরিচালনা’ বাদ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বাকি তিনটি কম্পোনেন্টের সমন্বয়ে বিনিয়োগ প্রকল্প হিসেবে মোট ৬৩২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়ে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। এরপর বিনিয়োগ প্রকল্পটির ওপর পরিকল্পনা কমিশনে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ডিপিপি পুনর্গঠন করে তা পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।