পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া অনৈতিক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, “হেফাজতকে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়, পৃষ্ঠপোষকতা করে তারা অনৈতিক কাজ করছেন, তারা রাজনৈতিক অপরাধ করছেন। জঙ্গি-সন্ত্রাসী রাজাকার ও তেঁতুল হুজুরদের আশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষক, সঙ্গী, সমর্থক, রাজনীতিতে সক্রিয় দেখছি। আমরা তাদের আলাদা করতে পারছি না।”
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘প্রতিবাদী লেখক জাফর ইকবাল হত্যা প্রচেষ্টা: ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের বাধা কোথায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হতাশা প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দার্শনিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে আমরা স্থির জায়গায় যেতে পারছি না। যত দিন না পারব, বাংলাদেশে রাজনীতি অক্ষুণ্নভাবে অসাম্প্রদায়িক জায়গায় দাঁড়াবে না।”
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি মানুষ, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ আমাদের সবারই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো উচিত। এটা বঙ্গবন্ধু বাহাত্তরের সংবিধানে করেছিলেন। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করাটা কোনও অগণতান্ত্রিক কাজ নয়। এটা গণতান্ত্রিক কাজ। আমরা বলি গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন এবং সুশাসন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপরাধ করে, তারা গণতন্ত্রের সঙ্গে যাচ্ছে না। সবাই গণতন্ত্রের অধিকারপ্রাপ্ত হন না। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মূল্যবোধের সঙ্গে একমত হন, যারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ করবেন না, তারাই গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করবেন।’
জাফর ইকবালের ওপর হামলার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের পক্ষে যারা ওকালতি করে, তারা প্রথমেই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দেন যে- ভিন্ন ধর্মের লোককে আমি সহ্য করবো না, তাকে বাদ দিতে হবে। সেদিক থেকেই যখন রাজনীতির চর্চা হয়, সেখানে দার্শনিকভাবেই একটি সংঘাতের কিংবা আক্রমণের কিংবা বল প্রয়োগের নির্দেশনা থাকে। আপনি হেফাজতে ইসলামের কথাই বলুন অথবা আইএস-এর কথা বলুন অথবা তালেবানের কথা বলুন অথবা পাকিস্তানি জামায়াতের কথা বলুন অথবা বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলাকারী জঙ্গিগোষ্ঠীর কথা বলুন সবাই ওই মতবাদে বিশ্বাস করে বলেই ঘটনাটি ঘটেছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য আমার তরফ থেকে যা করার আমি করে যাবো। মন্ত্রী পরিষদে তদবির করবো, সংসদে তদবির করবো, রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।