পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে, ভোক্তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। দেশব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এখন সুফল পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় সংসদে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রনয়ন করা হয়েছে, সে মোতাবেক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। বাজার অভিযানের মাধ্যমে ভোক্তাদের স্বার্থ বিরোধী কাজের জন্য অভিযুক্তদের জেল-জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিগত ৮ বছরে দেশব্যাপী বাজারে বিপুল সংখ্যক অভিযান চালানো হয়েছে, জেল-জরিমানা করা হয়েছে। সচেতনতার মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অভিযোগকারীরে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিশোধ করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে সুস্পর্ক রেখেই সবধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে। সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের কারনে এখন আর কোন খাদ্য দ্রব্যে ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। খাদ্যে ভেজাল মিশানোর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত বিশ^ ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ’।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোক্তার অধিকার সুরক্ষা না হলে অভিযোগ পাওয়ামাত্র গুরুত্ব সহকারে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সে কানেই ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সচেতন হচ্ছেন, আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে অভিযোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সংগত কারনে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে। ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঢাকার পাশাপাশি বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে কাজ করা হচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার আন্দোলন ছড়িয়ে পরেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘর থেকে সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি মিলনায়তন পর্যন্ত র্যালিন আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়ের উপর স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেষ্ট, সার্টিফিকেট এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রলালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, ক্যাব-এর সভাপতি সাবেক সচিব গোলাম রহমান, এফবিসিসিআই-এর প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উত্তরা বিশ^বিদ্যালয়ের স্কুল অফ বিজনের ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর নজরুল ইসলাম।
এদিকে নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ইতোমধ্যেই সরকারি প্রতিষ্ঠানÑ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কাজ করছে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। যদিও দেশে ভোক্তা অধিকারের ধারণা খুব একটা নতুন নয়; তারপরও এখনও ধারণা নেই অনেকের। এখনো বেশিরভাগ ভোক্তাই জানেন না এ সম্পর্কে, পণ্য কিনে হয়রানির প্রতিকার কিভাবে পাবেন, তাও জানেন না। বিগত বছর গুলোর তুলনায় অভিযোগ নিষ্পত্তি, তদারকির মাধ্যমে জরিমানা আদায় বা গণশুনানীর হার বেড়েছে কয়েকগুণ।
ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ২০০৯ সালে আইন করা হয়। যেখানে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে জরিমানা, কারাদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের খবর কতজন রাখেন? ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাপশি কাজ করছে বেসরকারি কয়েকটি সংস্থাও।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেছেন, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা তৈরিতে অধিদপ্তর কাজ করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মীরাও বাজার পরিদর্শন করেন। কোনো ত্রুটি বা কারচুপি খুঁজে পেলে করছেন জরিমানা। তিনি বলেন, যে কোনো ভোক্তা হয়রানির শিকার হলে তার প্রমাণসহ সশরীরে বা ইমেইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দু পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানির পর সিদ্ধান্ত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানার এক চতুর্থাংশ অর্থ পাবেন ভোক্তা।
অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৩৭ টি তদারকির মাধ্যমে ৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত অর্থবছরে লিখিত অভিযোগ এসেছিল ৬ হাজার ১৪০টি যার সবগুলোই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০৯টি অভিযোগের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।