পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৫ টি মামলা কাঁধে নিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সরকারের আমলে করা তার মামলাগুলো প্রত্যাহার হলে বেগম জিয়ার মামলা কেনো প্রত্যাহার হলো না? আসলে আওয়ামী লীগ বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। আর সে কারণেই নিজেদের অপকর্মকে আড়াল করতে নেত্রীকে জেলে দিয়েছেন। গতকাল (বুধবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির জাতীয় নেতা মরহুম মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদকের আইনজীবীদের কর্মকাÐেই প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়ার শাস্তির পিছনে সরকারের মদদ রয়েছে। খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদকের আইনজীবীরা কি রাষ্ট্রের আইনজীবী নাকি আওয়ামী লীগের আইনজীবী? তাদের কর্মকাÐে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় রাষ্ট্রের প্রতি, জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের কর্মকাÐেই প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়ার শাস্তির পিছনে সরকারের মদদ রয়েছে।
দেশ ও দেশের জনগণকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র গভীর সঙ্কটে নিপতিত হচ্ছে। ব্যাংকে চলছে হরিলুট। হাজার হাজার কোটি টাকা অবাধে লুট হচ্ছে। আর এই লুটপাটে সহায়তা করছে খোদ সরকার। কোটি কোটি ডলার পাচার হচ্ছে এবং বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছে এই লুটপাটকারীরা। এখনই এদের থামাতে হবে। গণতন্ত্র হুমকির মুখে। মানুষকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মরহুম মশিউর রহমান যে গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন সেই গণতন্ত্র আজো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেদিন যদি যাদু মিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে এসে না দাঁড়াতেন তাহলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো কিনা সন্দেহ আছে। যাদু মিয়া শুধু শহীদ জিয়ার পাশেই দাঁড়াননি গণতন্ত্রের জন্য তিনি ন্যাপ’র নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ বিএনপির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সংগঠনের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব মো: শহীদুন্নবী ডাবলুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা দেন এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির সহ-গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আল আমিন ভুইয়া রিপন, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মো: কামাল ভুইয়া, মো. মঞ্জুরুল আলম, যুবনেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।