পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম ও নাজনীন সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এদিকে নতুন গভর্নর ফজলে কবির যোগদানের পর প্রথম বোর্ড সভা আগামী ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন সময়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যেসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, নাজনীন সুলতানাকে বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আবুল কাসেমকে ডাকা হয়। তাকেও একান্তে প্রায় আধা ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিজার্ভ চুরি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে গভর্নর আতিউর রহমান সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা ও আবুল কাশেমকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ব্যাংকটির তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করার পরপরই রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় গিয়ে ওই দুই ডেপুটি গভর্নরকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন Ñ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন সময়ে দেয়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সদ্য পদত্যাগ করা গভর্নর ড. আতিউর রহমান তার সময়কালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও দেওয়া হয়েছে। ফলে নিয়মিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে যাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বড় ধরনের বিক্ষোভও করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।