পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ট্রাফিক আইন না মেনে উল্টো পথে গাড়ি চালানোর তীব্র সমালোচনা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও (ভিআইপি) উল্টো পথে গাড়ি নিয়ে যান। অনেকে গাড়িতে পতাকা উড়িয়েও উল্টো পথে যান। আবার জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়েও উল্টো পথে যান। এসব দেখে কষ্টও লাগে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ঢাকা মোটর, বাইক ও অটোপার্টস প্রদর্শনী ২০১৬-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কষ্ট হলেও আমি কখনও উল্টো পথে যাই না। আমি মন্ত্রী হয়ে যাব কেন? আমি গেলে তো জনগণও উল্টো পথে যাবে। উল্টো পথে গেলে বরং দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
মন্ত্রী আরও বলেন, অনেকে মোবাইল ফোন নিয়ে ‘সিরিয়াস’ ও ‘সুইট’ আলাপ করতে করতে রাস্তা পার হন। যদি তখন গাড়ি চাপা দেয়, তাহলে দোষ পড়ে চালকের। একটু সচেতন হলেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে।
পুরোনো গাড়ির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় মুড়ির টিন গাড়ি দেখলে কেমন যেন লাগে? আল্লাহর দান, বাবার দোয়া, মায়ের দোয়া নামে এসব গাড়ি চলে। আবার ‘আল্লাহর নামে চলিলাম’ লেখা গাড়ি চলতে শুরু করেই খাদে পড়ে। অর্থনীতির এত উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু পুরোনো গাড়ির এমন বাংলাদেশের চেহারা কেমন যেন লাগে।
মন্ত্রী বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভার, বনানী ওভারপাস, মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভারÑএসব দেখলে দেশকে বিদেশ-বিদেশ লাগে। আগে কেমন যেন গরিব-গরিব লাগত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক পরিবহন অধ্যাদেশ আইন হচ্ছে। এতে শুধু চালক নয়, মালিকের শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। পরবর্তী সংসদে এ আইনটি অনুমোদনের জন্য উঠবে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া একটি পরিবারে সর্বোচ্চ কয়টা গাড়ি থাকবে, সেটাও আইনে উল্লেখ থাকবে বলে তিনি জানান।
রাজধানী ও দেশের গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাসে যত লোক বসে আছে তার চেয়ে বেশি থাকে দাঁড়িয়ে। আমি নিজে দেখেছি গাড়ির গায়ে লেখা ‘সিটিং সার্ভিস’। অথচ ভেতরে সিট নেই; লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন। এটি সিটিং নয় একটা চিটিং সার্ভিস’।
তিনি বলেন, আবার বাসের গায়ে লেখা ‘আল্লাহর কসম সিটিং সার্ভিস!’ ইদানীং কেউ বিশ্বাস করে না বলে মুন্সীগঞ্জের পথে বাসে দেখলাম লেখা ‘আল্লাহর কসম ভিআইপি সার্ভিস!’ বাসের সামনে মায়ের দোয়া, বাবার দোয়া আর পেছনে ‘আল্লাহর নামে চলিলাম’। কিন্তু আল্লাহর নামে চলিলাম বলে কোথায় চললামÑখাদের মধ্যে?
তিনি বাস মালিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ঢাকার বাস দেখলে মনে হয় বাংলাদেশ যেন খুব গরিব দেশ! বিদেশিরা এটি নিয়ে খুব লজ্জা দেয়।’
নতুন বাস নামাতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আপনারা নতুন বাস নামান। আমি পুরাতন লক্কড়-ঝক্কড় বাস উঠিয়ে দেব।
মন্ত্রী জানান, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে আগামী মাসে র্যাপিড বাস ট্রানজিট (বিআরটিএ) গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত কাজ শুরু হবে। ট্রাফিক জ্যাম ও দুর্ঘটনা কমাতে এটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বনানী পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে।
সেমস গ্লোবাল মোটর, বাইক ও অটোপার্টসের এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আগামীকাল পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।