পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মাদরাসা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ সদস্য-সচিব ফরহাদ হোসেন গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনুসিয়া মাদরাসায় পুলিশী হামলা, ভাঙচুর, কোরআন অবমাননা ও নিষ্পাপ হাফেজ ছাত্র হত্যার বিচার না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ মাদরাসার সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। অথচ এই ধর্মপ্রাণ সভাপতি ছিলেন মরহুম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের আত্মীয়। স্থানীয় এমপি মাদরাসা পরিদর্শন বা নিহত ছাত্রের পরিবারকে অর্থ সাহায্য না দিয়ে সঙ্গীত একাডেমিকে লাখ টাকা দিয়েছেন এবং পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি মোবারকউল্লাহ মিথ্যাচার করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মাদরাসা বন্ধের কথা বলেছেন। পশুমন্ত্রী ছায়েদুল হক বিনা কারণেই বিদ্বেষবশতঃ নাসিরনগর হযরত শাহজালাল (রহ.) কমপ্লেক্স ও হযরত আবু বকর (রা.) কমপ্লেক্স বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নৌ-মন্ত্রী শাহাজান খান বলেছেন, মাদরাসা ছাত্ররা স্বাধীনতার বিশ্বাস করে না। মন্ত্রী-এমপিদের এ সব কথা ও আচরণে দেশের কওমি ও আলিয়া মাদরাসার মক্তব থেকে মাস্টার্স পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষারত প্রায় আড়াই কোটি ছাত্রছাত্রী নিন্দা ও ঘৃণা জানাবার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। ৫ থেকে ২২ বছরের আড়াই কোটি ছাত্র কী করে স্বাধীনতা বিরোধী হল তা ঐ মন্ত্রীকেই বলতে হবে।
বাংলাদেশে দিল্লি, ইসলামাবাদ ও মিয়ানমার যেখান থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী হুমকি আসুক দেশপ্রেমিক জনগণের সাথে মাদরাসা ছাত্ররাই এ হুমকির মোকাবিলা করবে। কোন পরাশক্তির আগ্রাসন ও মাদরাসা ছাত্ররা মেনে নেবে না। তবে স্বাধীনতার অর্থ যদি কোন দেশের প্রতি নতজানু থাকা ও তাদের গোলামি করাকে বোঝায় তাহলে গোলাম ও তাঁবেদাররাই কেবল এমন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হতে পারে কোন স্বাধীনচেতা মানুষ নয়। দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত সুবিধাবাদী অগণতান্ত্রিক স্বৈরকায়দায় ক্ষমতারোহনকারী মন্ত্রী-এমপিদের মুখে মাদরাসা ছাত্রদের সমালোচনা শোভা পায় না।
নেতৃদ্বয় সীমালঙ্ঘনকারী মন্ত্রীদের অপসারণ ও বিচার দাবি করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ সব অপ্রকৃতিস্থ মন্ত্রীর মুখে লাগাম দিতে হবে। নিরীহ মাদরাসা ছাত্রদের প্রতি এমন অসাংবিধানিক ও অসভ্য দোষারোপের দায়ে নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর নামে মামলা করে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে হবে। অন্যথায় আড়াই কোটি মাদরাসা-ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। বিবৃতিতে দোষী মন্ত্রী-এমপিদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ ও ইমাম-আলেমদের নিন্দা ও প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।