পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সন্তোষ প্রকাশ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের
আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ : জামিন আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন : আংশিক বিজয় বলছে বিএনপি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাজার মেয়াদ, বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে উচ্চ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নিন্ম আদালতের নথি দেখে এ জামিন আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য মামলার পেপারবুক (আপিল শুনানির জন্য যাবতীয় নথি) প্রস্তুত করার জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে দিয়েছেন আদালত। জামিনে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তারা বলেছেন, এই জামিন আদেশটি ছিল ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশিত। তাদের দাবি অন্য মামলায় গ্রেফতার না দেখালে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে বাধা নেই। অপরদিকে অ্যার্টনি জেনারেল ও দুদকের আইনজীবীরা বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই আপিল করবেন। ইতোমধ্যে আপিল প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে দেয়ার ফলে স্বাগত জানিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা ও প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ ধরণের মামলায় জামিন নিয়মিতভাবে হওয়া দরকার। কিন্তু এ মামলায় আদেশ পেতে কয়েকদিন বিলম্বিত হয়েছে। তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের মাধ্যমে আমরা আংশিক খুশি হয়েছি।তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে তার বাস ভবনে প্রবেশ করলেই পুরাপুরি খুশি হবো।
এর আগে ২৫ ফেব্রæয়ারি জামিন আবেদনের ওপর একই বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। পরবর্তীতে শুনানি গ্রহণ শেষ করে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন উচ্চ আদালত। এর আগে গত ২২ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ মামলার নথি তলব করেন। এরপর ১১ মার্চ বিচারিক আদালত হাইকোর্টে নথি পাঠায়। রোববার খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে নথি না আসায় আদালত আদেশের জন্য সোমবারে দিন ধার্য করে।
গতকাল আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান, জয়নুল আবেদীন, আবদুর রেজাক খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, এ একে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও কয়েকজন বিএনপি শীর্ষ নেতাকেও আদালতে দেখা যায়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহম্মেদ। দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। এছাড়াও আওয়ামী ও বিএনপি সর্মথিত আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিনে আবেদন সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে ও বিভিন্ন গণম্যাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিত হতে থাকেন। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ছিলেন সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।
হাইকোর্ট এলাকায় প্রতিটি প্রবেশ গেটে সর্তক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের। দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম বেঞ্চে বসেন। এসময় আদালতকক্ষ ছিল আইনজীবীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ। কোথাও কোনো তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। পিরপন নিরবতা। এর মধ্যে শুরু হয় জামিন আবেদন। আসামী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের বক্তব্য শুনে ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে ৪টি বিষয় বিবেচনা করে ৪ মাসের জামিন আদেশ দেন আদালত।
শুনানিতে যা হল: শুরুতেই সিনিয়র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীনের কাছে জানতে চান, তাঁদের কিছু বলার আছে কি না। তখন তিনি বলেন, জামিন আবেদনের শুনানি তো শেষ হয়েছে। আমরা আদেশের জন্য অপেক্ষা করছি। যদি রাষ্ট্রপক্ষ কিছু বলে তাহলে আমরা জবাব দিবো। জবাবে আদালত বলেন, আপনারা তো অনেক বই নিয়ে আসলেন, কিছু বলতে চাইলে বলতে পারেন। এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, মি. অ্যাটর্নি, আপনি কিছু বলবেন? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল দাঁড়িয়ে বলেন, মাই লর্ড, এটি একটি সেনসিটিভ (স্পর্শকাতর) মামলা। এ মামলার নথি ইতোমধ্যে এসে গেছে। তাই, নথি দেখে শুনানির পর আদেশ দেয়া হোক। আদালত বলেন, কী ধরনের সেনসিটিভ মামলা?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটি একটি দুর্নীতির মামলা। এখানে এতিমের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আত্মসাৎ হয়েছে। সাবেক নথিতে সব পরিষ্কার, কীভাবে টাকা আত্মসাতের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। তাই আমি বলব, এ মামলার আদেশ আরো দুই দিন পর দেয়া হোক।
এ সময় খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, মাই লর্ড, দুদকের আইনজীবী জামিন না দেয়ার জন্য ইতোপূর্বে দুটি যুক্তি দিয়েছিলেন। আমরা এসব মামলার নথি এনেছি। এখানে দেখা গেছে, ওই সব মামলায় আসামিদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ জামিন দিয়েছিল। এই বলে তিনি আদালতে দুটি মামলার নথি বাড়িয়ে দেন। এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীকে বলেন, আপনি কিছু বলবেন? তখন দুদকের আইনজীবী আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘এ মামলায় উনি (খালেদা জিয়া) সব মিলিয়ে দেড় মাসের মতো কারাভোগ করছেন। উনি এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি। এক বছর বা দুই বছর জেল হলে কথা ছিল। সাজার পরিমাণ কম, এই বিবেচনায় জামিন দেয়া উচিত হবে না। এটা জামিন দেয়ার গ্রাউন্ড হতে পারে না। তার (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে কোনো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখানো হয়নি। এ সময় আদালত বলেন, এ শুনানি তো আপনি আগেও করেছেন। নতুন কী আছে সেটা বলুন।এ সময় খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে বলেন, আগে খালেদা জিয়া অসুস্থ ছিলেন। এই অসুস্থতার কারণে তিনি হাঁটা-চলা করতে পারেননি। এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীকে বলেন, উনাকে পাঁচ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। আপনারা কি রায়ের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন? জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, আমরা রায়ে অসন্তুষ্ট। আদালত বলেন, আপনারা কোনো আপিল করেছেন? জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, আমরা রায়ের নথি দেখছি। কেননা এ মামলায় আপিল করার জন্য ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় রয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, সোজা কথায় বলেন, আপনারা রায়ের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না? জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, এখনো নিইনি, তবে আমরা রায়ে সন্তুষ্ট না। এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, উনি তো (খালেদা জিয়া) ফিজিক্যালি ফিট না। জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টও (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলেন। পরে আদালত বলেন, ‘ওই সময় উনার বয়স কত ছিল? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনার বয়স ৬৫ কিংবা ৬৬ হবে। এ সময় আদালত বলেন, ‘উনি তো অনেক সামর্থ্যবান ছিলেন। উনি পরে কারাগার থেকে বের হয়ে বিয়ে করলেন। আল্লাহর রহমতে একটি পুত্র সন্তান লাভ করেছেন। এ সময় বিচারকক্ষে কিছুটা হাসির রোল পড়ে যায়। এ সময় আদালত বলেন, যাই হোক আমরা আদেশ দিচ্ছি। এরপর আদালত চারটি গ্রাউন্ড তুলে ধরে চারমাসের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত বলেন, আমরা আইনজীবীদের শুনানিগুলো লিখিত আদেশে দিয়ে দেব। এখানে শুধু আদেশ দিচ্ছি। পরে আদালত চারটি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিন আদেশ দেন এবং চার মাসের মধ্যে পেপারবুক তৈরির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন।
চার যুক্তিততে জামিন মঞ্জুর:
রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে দ্রæততম সময়ের মধ্যে আপিল শুনানি শুরুর আদেশ চাইলেও হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে চারটি যুক্তিতে। প্রথমত, নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের যে সাজা দিয়েছে, তুলনামূলকভাবে কম ওই সাজায় হাই কোর্টে জামিনের রেওয়াজ আছে। দ্বিতীয়ত, বিচারিক আদালতের নথি এসেছে, কিন্তু আপিল শুনানির জন্য এখনও প্রস্তুত হয়নি। ফলে আসামি জামিনের সুবিধা পেতে পারেন। তৃতীয়ত, বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন এবং এর অপব্যবহার করেননি। আদালতে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন এবং বয়স এবং বয়সজনিত শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেয়া যায়। এসব যুক্তিকে খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, এই সময়ের মধ্যে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি করতে হবে। পেপার বুক প্রস্তুুত হয়ে গেলে যে কোনো পক্ষ শুনানির জন্য আপিল উপস্থাপন করতে পারবে। জামিন হওয়ার পর শ্লোগানে মুখর হাইকোর্টের প্রাঙ্গন। এই আদেশের পর হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী ও আইনজীবীরা ¯েøাগান ¯েøাগানে আনন্দ উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন। টানা প্রায় ৩০ মিনিট চলা ¯েøাগানে একটাই উচ্চারণ খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া।
স্বাগত জানালেন ড. কামাল হোসেন:
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার জামিন লাভের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আইনের শাসনে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ করে স্বাধীন বিচার বিভাগ। কাজেই স্বাধীন বিচার বিভাগের গুরুত্ব সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। এতে দেশ ও জনগন উপকৃত হবে। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এ ধরণের মামলায় জামিন নিয়মিতভাবে হওয়া দরকার। কিন্তু এ মামলায় আদেশ পেতে কয়েকদিন বিলম্বিত হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বক্তব্য:
রায় ঘোষণার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আমাদের ম্যাডামকে ৪ মাসের জামিন দিয়েছেন। যেটি ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা ছিল। আমরা অনেক খুশি। তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিনে মুক্তি পেতে বাধা নেই। কেননা তাঁকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের আদেশ দুদিনের জন্য স্থগিত চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি আদালত বিবেচনায় নেননি।
আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ:
খালেদা জিযার জামিন আদেশের পর নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল প্রস্তুত শুরু করেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুরের মধ্যে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন নিয়ে যেতে পারবো। অপরদিকে, দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করা হবে। তিনি আরো বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।