পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আলেম ওলামা, পীর, বুর্জুগ মাশায়েখদের সোনালী নিকট অতীত ইতিহাস রয়েছে সিলেট জুড়ে। তাদের দ্বীন দুনিয়ার খেদমতে ধর্মভীরু পরিবেশের অনন্য অবস্থ্ওা গোটা সিলেটের। যুগের পর যুগ তারাই ধারাবাহিকতা বহমান। একই সাথে দেশ জাতির বিভিন্ন ইস্যুতে তারা থাকতেন অগ্রভাগে। অভ্যন্তরীন যেকোন বিষয়ে তাদের মতামত ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিপুল জনশক্তিও তাদের। সেই সাথে রয়েছে অনুরাগি অনুসারীদের সংখ্যাও। ধর্মীয় বিভিন্ন ইস্যুতে দৃড় ভূমিকায় সিলেটের আলেমওলামারা দেশেব্যাপী আলোচিতও বটে।
আলেম ওলামাদের পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সর্ম্পকে তারা নন্দিতও। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান অন্যদের নিকট শিক্ষনীয়। সিলেটের আনাচে-কানাচে তাদের উদ্যোগে ও ধর্মপ্রাণ মানুষের দানে গড়ে উঠেছে মক্তব-মাদ্রাসা। বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসার সংখ্যাও লক্ষনীয়। দ্বীনের খেদমতে এ মাদ্রাসাগুলোরও সুখ্যাতি রয়েছে। রয়েছে আলিয়া মাদ্রাসাও। পবিত্র রমজান মাসে দারুল কেরাতের বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কোরআন শিক্ষার কোর্সগুলোতে অংশ নেন আলিয়া-ক্ওমীর ছাত্ররাও। শিক্ষা অর্জনে তাদের সাথে শরিক হন সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিতরাও। সামগ্রিক অবস্থায় দ্বীনি প্রতিষ্টান ও আলেমওলামাদের সাথে সাধারন মানুষের সর্ম্পক সুনিবিড়। আস্থাশীল এ সর্ম্পকে পারস্পরিক যোগাযোগ বিস্তৃত করে রেখেছে। তারই অংশ হিসাবে আলেম-ওলামা বা দ্বীনি প্রতিষ্টানের সাথে সর্ম্পকশীল মানুষও বিশেষ মর্যাদায় সিক্ত।
বিবেচনার এমন পর্যায়ের কারনে আলেম ওলামাদের কার্যক্রম সাধারন মানুষের নিকট মূল্যায়িত হয় গুরুত্ব-সহকারে। সেকারনে তাদের যেকোন পদক্ষেপে মনসংযোগ থাকে আমজনতার। তাদের ইতিবাচক কর্মকান্ডে যেমন মানুষের সমর্থন থাকে নিরঙ্কুশ, তেমনি তাদের সমস্যায় তারা হয় ব্যথিত। কিন্তু তাদের অপ্রত্যাশিত কোন পদক্ষেপেও তারা হয় ক্ষুব্ধ-হতাশ। আপামর সাধারন মানুষ সর্বদাই চায় আলেম ওলামাদের ইমেজ যেন থাকে র্শীষে, অতুলনীয়। স¤প্রতি স¤প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুরে সংঘটিত ঘটনা ও হবিগঞ্জে একজন সুন্নীপন্থি বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে খুন নিয়ে আলোচিত হচ্ছে সিলেট সহ দেশ জুড়ে। ধর্মীয় ছোট খাটো বিষয়ে আলেম ওলামাদের মতানৈক্য স্বীকৃত। এমনকি সমাধানের পথও রয়েছে স্বীকৃত। মতানৈক্যগত বিষয় সোচ্চার বা আ্ওয়াজের তুলনায় পারিপার্শ্বিক নানা ইস্যুতে তাদের ভূমিকা হতাশাজনক। সেই সাথে মতানৈক্যগত কোন ব্যাপারে কৌশল হেকমত বা প্রজ্ঞার পরিচয় প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ দ্বীন বা ইসলামের মর্ম কথায় রয়েছে, মতানৈক্যের উর্ধ্বে উঠে, সাদৃশগত মিলের তাগিদ। কোরআনের ঘোষনা ‘হে নবী আপনি বলুন ‘হে আহলে কিতাবগন এসো, এমন একটি কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সাদৃশ্য দেখায়।’ (সুরা-আলে ইমরান-৬৩) বাস্তবিক পরিস্থিতি, এ নির্দেশনার আলামত খূঁজে প্ওায়া মুশকিল, এমন আফসোস ধর্মপ্রাণ মানুষের। নিকট অতীতে উপমহাদেশের সর্বজন আলেম,শিক্ষাবিদ মরহুম হোসাইন আহমদ মাদানির খলিফা, শায়েখ আব্দুর করিম কৌড়িয়া ও প্রখ্যাত পীর বুর্জুগ আল্লামা মরহুম আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী বিভিন্ন ইস্যুতে দাবী আদায়ে ঐক্যমত গঠনে সহযোগি হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে সফলতা অর্জন করে জাতীয় বরণ্যজন হিসাবে সমাদৃত হয়েছিলেন। নিজস্ব গন্ডির বাইরে যোগ্যতা, দূরদর্শিতায় তারা এমন পর্যায়ে পৌছতে পেরেছিলেন বলেই তারা সামগ্রিক গ্রহনযোগ্য নির্ভরশীল চরিত্র হতে পেরেছিলেন। ইতিহাসের নিরীখে বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেট। উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সুফী সাধক হযরত শাহজালাল (রহঃ) ১৩০৩ খৃঃ পদার্পন করেন সিলেটে। তার সাথে ৩৬০ আঊলিয়া সিলেট অঞ্চলসহ আশে পাশের এলাকায় ইসলাম প্রচারের কাজে নেমে পড়েন। ইসলাম ধর্ম প্রচারের সঙ্গে কোন জোর জবরদস্তির সম্পর্ক ছিল না। ইসলাম প্রচারের মূলে ছিল ইসলামের শিক্ষা ও মুসলমানের জীবনাদর্শ। ওলি আউলিয়ারা যেখানেই গিয়াছেন সেখানে তাদের আচার আচরণে ও চরিত্রের মানবতা গুণে জনসাধারন মুগ্ধ হয়ে দলে দলে ইসলামকে কবুল করে নিয়েছেন বিধর্মীরা। সমৃদ্ধ এমন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা চায় ধর্মপ্রাণ সাধারন মানুষ। তাদের দ্বীন প্রচারের কারনেই সিলেটের সর্বত্র মক্তব-মাদ্রাসা ধর্মীয় উপাসনালয়। সংখ্যাধিক্য মুসলমান হল্ওে ভিন্ন ধর্মের বিশ্বাসীদের সাথে স¤প্রতির সর্ম্পক অনন্য। নেই কোন হানানানি। গোঁড়ামির কোন লেস নেই ধর্মীয় সক্রিয়তায়। বরং পারস্পরিক সহযোগিতা উল্লেখ্যযোগ্য। পূর্বেকার দ্বীনি আলেমওলামাদের হুজরা বা দরবার ছিল মুসলিম ছাড়্ওা বিধর্মীদের আস্থা ও নির্ভরতার স্থান। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায়, চরম ইমেজ সংকটে এঘরনার বাস্তবতা। ধর্মপ্রাণ মানুষ শংকিত, বিধর্মীরা তো দুরে সরে গেছে। বাস্তবতার এমন হিসেবে অনাকাংখিত হল্ওে ইসলামের প্রতিনিধিত্বকারী দ্বীনি আলেমওলামাদের ব্যাপক পরিচিতি বা ভুমিকার বদলে পাস্পরিক অনৈক্য দৃড় হচ্ছে ছোট খাটো মতানৈক্য। তারা এখন বহুদা বিভক্ত। পরস্পরের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন, আপত্তির তকমা। ভন্ডীপীর, মাজার পুজারী, ব্যক্তিপুজারী,ওয়াবী, সালাফি, লা মাজহাবী, এখন কলব বা ভাষা আক্রমনের বুলেট হয়ে উঠেছে। তাদের এহেন মূল্যবান বাক্যগুলোর বিভ্রান্তিতে পড়ে আবেদন হারিয়ে যাচেছ। প্রশ্নবিদ্ধ এমন বাক্যগুলোতে বিষ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। অভ্যন্তরীণ বিভেদও দুরত্বে ইসলাম বিরোধী শক্তি এ সুযোগে তাদের কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত করে তুলে চাচ্ছে। তারা যখন অভ্যন্তরীন মতানৈক্য ব্যস্ত, ধর্মদ্রোহী শক্তি তখন সামগ্রিক ভাবে প্রতিষ্টা লাভে মরিয়া। ঘরের মূল্যহীন অন্ত:কলহে লাভবান হচ্ছে সেই শক্তি। ধর্মের মূল স্পিরিট এর বদলে শাখা প্রশাখাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, বিভেদের জড়িয়ে পড়ার কারনেই এ ঘটনা গুলো এখন বাস্তবতা। যেকারনে প্রতিনিয়ত ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দ্বীনি প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্টরা। তথ্যও প্রযুক্তির এ সময়ে মানুষ যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসর, সেই অগ্রসরতায় পারদর্শী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দুনিয়ার উপর খবরদারী করছে ব্যক্তি গোষ্টি জাতি। অথচ আল কোরআনে ঘোষনা করা হয়েছে ‘তোমরা সর্বশ্রেষ্ট জাতি তোমাদের পাঠনো হয়েছে মানব জাতির কল্যানের জন্য।’ সেই নির্দেশনার শিক্ষা- জ্ঞান কাজে লাগিয়ে কল্যানমুলক কোন কাজে আমাদের দৃষ্টান্ত স্থাপনে উল্লেখযোগ্য নেই কোনো ভূমিকা। এমনকি যেখানে বসে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহন করছি, তার আশপাশ পরিবেশকে অনুকূল করে নিরাপদও শান্তিময় করত্ওে নেই কার্যকর কর্মসূচী বা পরিকল্পনা । সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে আমাদেরওয়াজ থাকল্ওে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপে নেই তা উত্তরনে। ইসলামে ইমামের সার্বজনীন যে রূপ, সেই রূপ কি আদৌ রয়েছে ইসলাম বা সমাজের দৃষ্টিতে ইমামের মধ্যে। ইমাম বলতে মসজেিদর নামাজ যে পড়ায় সেই যেন ইমাম। অন্য কোন কিছুতে তার ভূমিকা রাখার সুযোগ বা যোগ্যতা নেই। সীমাবদ্ধ এ ধারনায় বন্দি এখন ইমামের সার্বজনীনতা। এমন অবস্থা উত্তরনে কোন ভূমিকা পালন করতেই দেখা যায় না। সবকিছূতেই এমন মিল অমিলের খেলা চলছে চারিদিকে। অথচ আল কোরআন, আল হাদীস রয়েছে দ্বীনি প্রতিস্টানগুলোতে। তারা বল্ওে যান, সেই শিক্ষায় তারা শিক্ষিত হচ্ছেন, কিন্তু গ্রন্থগুলোর প্রকৃত রূপরস আহরনে তাদের অবদান বা প্রকাশ বলা বাহুল্য। ছোট ছোট্ ফেরকার মিল অমিল সহ সীমাবদ্ধ কোন বিষয়ে তাদের আ্ওয়াজ তেজদীপ্ত হল্ওে, সমাজে অনাচার-অবিচারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তাদের ভূমিকা নেই বললেই চলে। কিন্তু ইসলাম কল্যানের জন্য, তাহলে এর অনুসারীরা মেধা যোগ্যতা দিয়ে হেকমতও কৌশলে নিজদের যোগ্যতা প্রমানে উদ্যোগী হবেন এমন প্রত্যাশা ধর্মপ্রাণ মানুষের। যাপিত জীবনের সব কিছুতে তারা কৌশল সেরা পন্থা তুলে ধরে পরিবর্তনে রাখতে পারতেন বিরাট ভূমিকা। স্থানীয় বা জাতীয় কল্যানমুলক যেকোন ইস্যুতে তারা গ্রহনযোগ্য ভূমিকায় জাতীয় ঐক্যেমত সৃষ্টিতে কাজ করতে পারতেন। তার বদলে দেখা যায় আলেমওলামারা একান্ত তাদের দ্বীনি প্রতিষ্টান বা দরবারগত উন্নয়ন উন্নতি নিয়ে, দেনদরবারে মনোযোগি। কিন্তু সামগ্রিক ব্যবস্থা নিয়ে তাদের অংশগ্রহন একেবারে সীমিত। ব্যক্তি পর্যায়ে হল্ওে সামষ্টিক অবস্থান নেই বললেই চলে। শাহজালাল (র.) শাহপরান (র.) এ মাঠিতে পর্দাপন করে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত করেছিলেন সমাজের। সারা দেশের মানুষে তাদের সেই অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে, ছুটে আসে আজ্ও তাদের মাজারে। তারা ধর্মপ্রাণ আপামর মানুষের মধ্যে কিংবদন্তি হল্ওে জীবিত ধর্মীয় নেতারা সার্বিক বিবেচনায় কিংবদন্তি হতে পারছেন না। এর মুলে তাদের মধ্যেকার সীমাবদ্ধতাও দুরত্ব। যেখানে ইসলামের নেতা হিসাবে সামগ্রিক নেতা হ্ওয়ার তাগিদ সেখানে একান্ত তারা গোষ্টি শ্রেনীর নেতার হ্ওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত। ধর্মপ্রাণ মানুষ মনে করে, আলেমওলামরা তাদের মধ্যে মত প্রার্থক্য গত বিষয় পর্দার আড়ালে জিইয়ে রাখুন বা এ নিয়ে মতবিরোধ চালিয়ে যেতে পারেন। আমজনতার মধ্যে তার প্রকাশ বিকাশ ঘটিয়ে, মানুষকে উত্তেজিত বা বিভ্রান্তি ফেলার কোন অধিকার নেই তাদের। যেকোন বিষয়ে রিসার্চ যারা করেন, তারা নিজস্ব গন্ডিতেই তাই করেন। উপকারভোগী সংগি হয় না সেই গবেষনায়। চুড়ান্ত ফায়সাল হলে তবেই তা প্রকাশ হয় সর্বসাধারনের মধ্যে। এটাই গবেষণার নিজস্ব চরিত্রত। ধর্মের বিভ্ন্ন্ িবিষয় সমূহ সমসাময়িক অবস্থার আলোকে নিরূপিত হবে, এ নিয়ে বাস্তবধর্মী ফয়সালা করবেন ধর্মী চিন্তাবিদরা, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের পর্দাহীন প্রচারনায় মানুষ আজ ত্যক্ত-বিরক্ত। সম্মান, শ্রদ্ধা, আস্থার স্থানগুলে আজ ক্রমশ: আস্থাহীন হ্ওয়ায় মানুষ শংকিত-উদ্বিগ্ন। কিন্তু ধর্মহীন মানুষগুলো এই স্থানগুলোতে বিভেদ বাধিয়ে তাদের মিশনে সফলতা পাচ্ছে। পক্ষান্তরে কোন অপকর্ম বা ধর্ম বিরোধীকাজ না কর্ওে ধার্মিক মানুষগুলো বিপদের সম্মুখিন হয়ে তাদের আস্থা বিশ্বাস আমজনতার মধ্যে বির্তকিত হয়ে ঘৃণা ধিক্কারের পাত্র হচ্ছে তারা। সেই চলমান অবস্থা পর্যালোচনা করে, আলেমওলামাদের কৌশলী, বিজ্ঞতায় দূরদর্শী ভূমিকা রাখার দাবী ধর্মপ্রাণ মানুষের। এব্যাপারে জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ম্ওালানা শাহ মমশাদ বলেন, ইসলামের মৌলিক বিষয় তথা ৯৯ ভাগ বিধি বিধানে একমত ইসলামী নেতা বা পন্ডিতরা। কিন্তু সে অংশের বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলার চেয়ে তারা ব্যস্ত মতোনৈক্যগত বিষয়ে। এতে করে, পাস্পরিক দায়বোধ প্রশ্নবিদ্ধ যেমন হচ্ছে, সাধারন মানুষ্ও হচ্ছে বিভ্রান্ত। ইসলামের সুমহান সৌন্দর্য তুলে ধরে, সমাজকে বদলাতে ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, জৈন্তার নাম যেমন সিলেট নয়, সিলেট যেমন বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশ যেমন বিশ্ব নয়। তাই সীমাবদ্ধ চিন্তা চেতনা বিপরীতে সামগ্রিক বিশ্বের অবস্থা মাথায় নিয়ে আমাদের ধ্যানে জ্ঞানে অগ্রসর হয়ে অপশক্তি মুকাবেলায় যোগ্যতার পরিচয় একান্ত দরকার। অন্যথায় আমাদের অব্স্থা করুন হবে, সেই করুন কাহিনী হয়তো রচনা হবে ধর্মের নামে দায়িত্বহীন রটনা ঘটনাকে পুজি করে বিভক্তির মধ্যে দিয়ে। পরিণাম কারো জন্য মঙ্গল হবে না। দ্বীনি জ্ঞানীদের ইসলামের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে যত দ্রæত ঐক্যবদ্ধ হবে, তত তাড়াতাড়িই আল্লাহর সাহায্য ত্বরান্বিত হবে। সুজন সিলেটের সভাপতিও ব্যবসায়িক নেতা ফারুক মাহমুদ বলেন, মুলত ইসলামের বাস্তব ধর্মী শিক্ষা গ্রহন না করে ব্যক্তি বা গোষ্টি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমরা ইসলাম পালনে অগ্রসর। তাই মতের অমিল হলে হুজুর বা পীর সাহেবকে মাপকাঠি বিশ্বাস করেই পরস্পরকে ঘায়েল মেতে উঠি। তাই পরিত্রানে প্রয়োজন কোরআন হাদীসের সঠিক চর্চা। তখন ইসলামের আলোকে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভুমিকা রাখতে পারবো। মনে রাখা দরকার, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা কারো মধ্যে থাকলে সে অনৈক্য সৃষ্টি না করে বুদ্ধি বা জ্ঞানের মাধ্যমে তা সমাধান করবেই। ফেরকা বা মতানৈক্য তার কাছে কোন বিষয়ই হবে না। এসব এড়িয়ে ইসলাম চর্চার নামই আল্লাহ ভীরুতা। এখন জ্ঞানের চর্চা বা গবেষনা না করে, কিভাবে কাকে কাবু করা যায় সেই মিশন বড় হয়ে য্ওায়ায়, বিভেদ বিভক্তি চরমে। সময় এখন ঐক্যবদ্ধতার। অমিলকে দূরে ঠেলে মিলগত বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ না হলে আলেমওলামাদের জন্য বিষয়টি হবে ব্যর্থতার। তাই ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের মধ্যে জ্ঞান প্রাজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হ্ওয়ার প্রত্যাশা করে। নতুবা তারা ইমেজ সংকটে শুধু নয়, তাচ্ছিল্যের পাত্র্ওে পরিনত হতে পারেন। যা কারো নিকট কাম্য নয়। খ্যাতিমান ইসলামী চিন্তাবিদ ম্ওালানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, মুসলমানরা মূলত মার খেয়েছে তাদের বিভক্তির কারণে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতরা সংখ্যালঘুতার কারণে কখনো পরাজিত হবে না বরং তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আজ মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো এখতেলাফ পরিত্যাগ করে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুর রকিব বলেন, বিশ্বের মুসলমানদের দূর্দশা, করুন পরিনতি কারন অনৈক্য। ধর্মবিরোধী শক্তি, বিভক্তি থেকে বিভক্তির পথ সৃষ্টি করে রক্তাক্ত করছে মুসলমানদের। তাই সময়ের দাবী এক্যবদ্ধতার নতুবা ধর্মের নামে অনৈক্যর মধ্যে দিয়ে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধিতে ন্ওেয়া খুবই জরুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।