পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাট নিয়ে মুখোমুখি শব্দ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে সরকারি লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) এমনই একটি প্রতিষ্ঠান। এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে গত সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণমাধ্যমের অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘পাটের উন্নয়ন: গণমাধ্যমের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য হিসেবে পাট তালিকাভুক্ত না হওয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। এ সময় তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী মনে হয় পাটের প্রতি একটু বিরূপ। প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মির্জা আজম অর্থ মন্ত্রণালয় ও আমার সম্পর্কে যা বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পাটকে আমি রিভাইস করতে চাই। কিন্তু এখানে পুরনো বিজেএমসির কোনও জায়গা নাই। এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মন্ত্রণালয়ে পাট সংক্রান্ত একটি সেল থাকতে পারে। পাট মন্ত্রণালয় বিজেএমসির খপ্পরে পড়েছে। প্রতি বছর সরকারি কোষাগার থেকে বিজেএমসিকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার পরেও ওদের ক্ষুধা মেটে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিজেএমসি তার ৯০ শতাংশ কর্মচারীকে স্থায়ী করে ফেলেছে। কথা ছিল বিজেএমসির ৫০ শতাংশ কর্মচারী স্থায়ী হবে। যেহেতু পাট একটি সিজনাল (মৌসুমি) পণ্য, সে কারণে সারা বছর ৫০ শতাংশের বেশি কর্মচারীর প্রয়োজন নেই। সিজনে বাকি ৫০ শতাংশ কর্মচারী কাজে লাগিয়ে শতভাগ কাজ করা সম্ভব।
এদের নিয়ে পরামর্শ কী, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার প্রথম পরামর্শ বিজেএমসিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পাটকে এগিয়ে নিতে হবে।
এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, স্যার, আপনি (অর্থমন্ত্রী) তো সম্প্রতি পলিসি সাপোর্ট দিয়েছেন। যেটা আমার মাধ্যমে হয়েছে। কাচা পাটের ব্যবসা এক সময় বন্ধ করে দিয়েছিল, আপনি পলিসি সাপোর্ট দিয়ে সেগুলো বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তারপরও এই মন্তব্যটা দুঃখজনক।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পাটে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট কত আছে? ইনিশিয়ালি যখন বিজিএমসি হলো তখন কয়েক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রত্যেক বছর ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা আনস্যাটিসফাইড, হাঙ্গার ফর মানি। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী বলেন, বিজেএমসির সিজনাল কর্মচারী থাকার কথা ৫০ শতাংশ, আর ৫০ শতাংশ স্থায়ী। ওরা ৯০ শতাংশ স্টাফকে স্থায়ী করে ফেলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, (বিজেএমসির) ম্যানেজমেন্ট ইজ হরিবল অ্যান্ড দ্যাটস হোয়াই আই ডিজলাইক দেম। পাট কিনতে বিজেএমসিকে যথাসময়ে সরকারি অর্থ বরাদ্দ পায় না বলে অভিযোগ বহু দিনের। বেসরকারি পাটকলগুলোকে সুবিধা দিতে সরকারি সংস্থা বিজেএমসিকে অকার্যকর করে রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।