পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুভ সংবাদ, সাফল্য কিংবা কোনো উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ মিষ্টান্ন। বাংলাদেশে মিষ্টান্ন জাতীয় খাদ্য নিঃসন্দেহে অনেক জনপ্রিয়। মিষ্টান্ন ছাড়া বাঙালির জীবনে কোন সাফল্য যেন ভাবাই যায় না। ভোজন রসিক মানুষদের সবাই সাধারণত মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার পছন্দ করে থাকেন। সময়ের সাথে এখন বাংলাদেশের বিখ্যাত সব মিষ্টান্নগুলো যেন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলার নারীরা প্রতিদিনই পরিবার ও আপ্যায়নের জন্য পছন্দের নানা রকমরে মিষ্টান্ন তৈরি করেন। কিন্তু প্রতিয়োগিতায় এসে মিষ্টান্ন তৈরি যেন অনেকের কাছেই ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। গতকাল বুধবার ধানমÐির পানসী রেস্টুরেন্টে এ রকমই একটি মিষ্টান্ন তৈরির প্রতিযোগিতায় নতুন অভিজ্ঞতার কথা জানালেন একাধিক নারী রন্ধনশিল্পী।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে উইমেন কালিনারি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ দিনব্যাপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আবেদন করা সহ¯্রাধিক মিষ্টান্ন রন্ধনশিল্পীদের মধ্যে থেকে বাছাইকৃত ৪০জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগী নারীরা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করেন। এদের মধ্যে থেকে ১০ জন মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক রন্ধনশিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রত্যেককেই নানা ধরণের গৃহস্থালি পণ্য ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। মিষ্টান্ন প্রস্তুতের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা তিন প্রতিযোগী হলেনÑ ফারজানা আফরীন, রাজিয়া সুলতানা এবং জাকিয়া রুপা। এরা সবাই গৃহিণী। বিচারক হিসেব ছিলেন দেশের স্বনামধন্য রন্ধনশিল্পী নাজমা হুদা, লবি রহমান, কল্পনা রহমান এবং সোহেলী শামিম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোলকাতার স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব ফুড জার্নালিস্ট পঞ্চালি দত্ত। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাঞ্চালি দত্ত রন্ধনশিল্পীদের নানান রকমের মিষ্টান্ন তৈরির প্রতিভা দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রতিযোগীতায় দর্শক হিসেবে আসা এক নারী জানান, ‘এখানে না আসলেই জানতেই পারতাম না কত রকমের সুস্বাদু মিষ্টান্ন হতে পারে।’
উইমেন কালিনারি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক লবি রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বাঙালিরা স্বভাবসুলভ ভাবেই একটু অতিথি পরায়ণ। তাই মেহমান এর জন্য হলেও অনেকেই ঘরে মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার রাখতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই খাবারের পরে একটু মিষ্টান্ন জাতীয় কিছু খেতে পছন্দ করেন। আর উৎসব মানেই যেন বাংলার ঘরে ঘরে হরেক রকমের মিষ্টান্ন-এর আয়োজন। আর তাই মিষ্টান্ন তৈরির এই আয়োজন। যাতে করে বাঙ্গঙালি নারীরা তাদের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরতে পারে। একই সঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ব্যাতিক্রমী এই আয়োজন করতে পেরে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।