পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আদালত অবমাননার দায়ে দুই মন্ত্রী সাজা পাওয়ায় সরকারের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দ-প্রাপ্তদের মন্ত্রীদের পদে থাকার বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আমি এই বিতর্কে জড়াতে চাই না।
তবে রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে নৈতিক দিক দিয়ে সবাই দায়বদ্ধ। কেন আমি পদত্যাগ করি নাই, পদত্যাগ করতে হলে আবার কারো কাছে কইয়া করতে হইব নাকি? এটা তাদের ন্যায়-নীতির ওপর। আমাদের মনে রাখতে হবে, অসামাজিক, অনৈতিক, অন্যায় ও অবিচার কোনোটিই জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
গতকাল (বুধবার) জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে করা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, দুই মন্ত্রীর ঘটনায় বর্তমান সরকার, সকলেরই বহুত ক্ষতি হয়েছে, বহুত ক্ষতি হয়েছে।
দ-প্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সবাইকে ন্যায়-নিষ্ঠার মধ্যে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেন বলেন, ন্যায়-নিষ্ঠা বাদ দিয়ে পৃথিবীর কেউ চলতে পারে না। বিচারব্যবস্থাও হতে হবে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমার হাতে ক্ষমতা থাকলেই আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না। এসব বিষয় নিয়ে যিনি দায়িত্বে আছেন বা যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের আরো বেশি করে ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
এ মাসের ৪ তারিখে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের আপিল মামলার রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তারা ওই বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলেও আদালত অবমাননার দায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে গত রোববার দ- দেয় আপিল বিভাগ।
দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-, অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদ-ের রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুকের গাড়িতে বিপুল অর্থ পাওয়ার খবর প্রকাশের পর তা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ১৬ এপ্রিল ‘অর্থ কেলেঙ্কারির’ দায় নিজের কাঁধে নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।